দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ দুদিনের বঙ্গ সফরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মধ্যাহ্নভোজন সারবেন মতুয়া বাড়িতে। এর পাশাপাশি তিনি মতুয়া মন্দিরেও যাবেন। কথা বলবেন সেখানকার বাসিন্দাদের সঙ্গে। দুদিনে এই সফরে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলার নেতাদের নিয়ে বৈঠকও করবেন তিনি।
বৃহস্পতিবার বঙ্গ সফরে আসছেন অমিত শাহ। এই সফরে একাধিক কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। ওই দিনই মেদিনীপুর ও রাঢ়বঙ্গে দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। দলের সাংগঠিক প্রস্তুতি তিনি খতিয়ে দেখবেন। ৬ তারিখ সল্টলেকের ইজেডসিসি বৈঠক সারবেন দলের নেতাদের সঙ্গে।
একনজরে সফর সূচি
৬ তারিখই নিউটাউনে একটি মতুয়া মন্দিরে দর্শনের জন্য যাবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখানে তিনি সাধারণ মানুষদের সঙ্গে কথা বলবেন। তারপরে ওই এলাকার আদর্শপল্লীর বাসিন্দা নবীন বিশ্বাসের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজন সারবেন শাহ। খবরে পেয়েই উচ্ছ্বসিত বিশ্বাস পরিবার। নবীন বিশ্বাস জানান, ”খবরটি পেয়ে আমরা খুব খুশি। আমি চাই আমরা রোজ যা খাই, সেটাই রান্না করুক আমার স্ত্রী। তবে এখনও কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। এখানকার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।” তবে এবারই প্রথম নয়। এর আগেও রাজ্যের এক আদিবাসী বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজন সেরেছিলেন তিনি। ২০১৭ সালে সালে ২৪ এপ্রিল নিজের বঙ্গ সফরের ফাঁকে নকশালবাড়ির আদিবাসী গ্রামে গিয়ে সেখানকার বাসিন্দা রাজু মোহালির বাড়িতে গিয়ে মধ্যাহ্নভোজন সেরেছিলেন অমিত শাহ।
বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক
মঙ্গলবার বিকালে ইজেডসিসিতে আসেন বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয় ও মুকুল রায়। সমস্ত প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেন তাঁরা। শাহের এই বঙ্গ সফরের দিকে তাকিয়ে রয়েছে গোটা রাজনৈতিক মহল। কয়েকদিন আগেই বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা উত্তরবঙ্গ সফর করেছেন। এবার দক্ষিণবঙ্গে সংগঠনের হাল দেখতে আসছেন খোদ স্বরাষ্টমন্ত্রী অমিত শাহ।
শাহের বঙ্গ সফর ঘিরে তৎপরতা তুঙ্গে বিভিন্ন নিরাপত্তা সংস্থাগুলির। বিভিন্ন জায়গায় কড়া নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। যে যে জায়গায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কর্মসূচি রয়েছে, সেইসব জায়গায় আগেভাগে পরিদর্শন করে গিয়েছেন আইবি, এসবি ও এনএসজির আধিকারিকরা। মতুয়া মন্দির ও নবীন বিশ্বাসের বাড়িতে ঘুরে গিয়েছেন নিরাপত্তা আধিকারিকরা।
বিজেপি সূত্রে খবর, দুপুরে কোনও একটি উদ্বাস্তু পরিবারে মধ্যাহ্নভোজ সারতে পারেন অমিত শাহ। তারপর বিকেলে যেতে পারেন শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের পুরোধা পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তীর বাড়িতে। প্রসঙ্গত, সোমবার অজয়বাবুর বাড়িতে দেখা করতে গিয়েছিলেন মুকুল রায়, কৈলাস বিজয়বর্গীয়, অর্জুন সিংরা। হতে পারে এ ব্যাপারেই অজয়বাবুর সম্মতি আনতে গিয়েছিলেন তাঁরা।
বঙ্গ বিজেপির নেতৃত্ব বলছে, সৌজন্য সাক্ষাত্ করতে যাবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। উত্তরবঙ্গের সভায় এসে জেলা নেতাদের উদ্দেশে নাড্ডা বলে গিয়েছিলেন, এখন থেকেই সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের কৃতীদের সঙ্গে যোগযোগ বাড়াতে হবে। শিল্পী, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী মহলে ভিত তৈরির পরামর্শ দিয়েছিলেন। হতে পারে অমিত শাহ নিজে অজয়বাবুর বাড়িতে গিয়ে জেলা নেতৃত্বের উদ্দেশে বার্তা দেবেন।
কিন্তু পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তীর সঙ্গে কেন দেখা করবেন অমিত শাহ?