দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ নেত্রী বললে লড়াই করবো, দেখে নেব “, বক্তা তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুরে পটাশপুরে আড়গোয়াল গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রবেশ দ্বার ও নতুন প্রশাসনিক ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গিয়ে এমনটাই বললেন তিনি।

বিগত কয়েকদিন ধরেই দলের সঙ্গে শুভেন্দুর সম্পর্ক নিয়ে জল্পনা চলছে রাজনৈতিক মহলে। পরোক্ষে শুভেন্দুকে পদ্ম শিবিরে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিজেপি নেতা মুকুল রায় ও দিলীপ ঘোষও। এইসবের মাঝেই শুভেন্দুর এদিনের এই বক্তব্য যথেষ্টই অর্থবহ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। 

এদিন মানুষের সঙ্গে থাকা ও মানুষের হয়ে কাজ করার কথাই বলেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “২০০৯ সালে আমার মার্জিন ছিল ১ লক্ষ ৭২ হাজার। ২০১৪ সালে বেড়ে হল ২ লক্ষ ৫২ হাজার। ভাল কাজ করলে, মানুষের সঙ্গে থাকলে সমর্থন বাড়বে। আর ক্ষমতার দম্ভ দেখালে ২৩৫ যেমন উঠে গেছে, তেমনই পঞ্চায়েতে যাঁরা আছেন তাঁদের মানুষ সরিয়ে দেবেন।”

সংবিধানের প্রসঙ্গে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, “আমাদের ভারতের সংবিধানে ইংরেজিতে ৩টি শব্দ আছে। পুরো ব্যবস্থাটা চলবে ফর দ্য পিপল, বাই দ্য পিপল, অফ দ্য পিপল। ফর দ্য পার্টি, বাই দা পার্টি, অফ দ্য পার্টি নয়। যদি কেউ পার্টিকে দেখে কাজ করেন তাহলে কিছুদিন থাকবেন, বেশিদিন থাকবেন না। মানুষকে নিয়ে যদি কাজ করেন তাহলে কিন্তু অনেকদিন থাকবেন। যতই ক্ষমতার দম্ভ দেখান না কেন মানুই তো শেষ কথা বলে।”

এপ্রসঙ্গে শুভেন্দু আরও বলেন, ” আমি তো নন্দীগ্রামের লড়াই দেখেছি। তখনকার সরকার বলেছিল আমরা তো ২৩৫, ৩০ জনের কথা শুনবো কেন? এত অর্থ, এত ক্ষমতা, এত বৈভব, অহঙ্কার, দম্ভ দেড় বছরের লড়াইতে ভেঙেচুরে তছনছ হয়ে গেল। মানুষই তছনছ করে দিল।” এরপরেই শুভেন্দুর পরামর্শ, “যদি নিতে পারেন, মানুষের আবেগটা নিন, তাহলেই একমাত্র টিকে থাকবেন।”

এদিকে শুভেন্দুর এহেন বক্তব্যের পরেই রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, এর মধ্যে দিয়ে কাকে বার্তা দিতে চাইলেন তিনি। কারণ ইতিমধ্যেই পূর্ব মেদিনীপুরের কোথাও কোথাও ‘দাদার’ সঙ্গে থাকার বার্তা দিয়ে ব্যানার পোস্টার লাগিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামীরা। এমনকি পুরুলিয়ায় হতে চলা বিজয়া সম্মিলনীর গেরুয়া কার্ড ঘিরেও তুঙ্গে উঠেছে জল্পনা। এখন দেখার শুভেন্দুকে কেন্দ্র করে আগামিদিনে কোন দিকে মোড় নেয় রাজ্য রাজনীতি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here