সুমন চন্দ্র দে, শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ মোহনরায় জীউ মন্দির এর উদ্যোগে শ্রীধাম চন্ডিপুর রথযাত্রা মহোৎসব এবছর চতুর্থ বছরে পদার্পণ করল। পরম পূজনীয় গুরুদেব প্রভুপাদ শ্রী শ্রী দেবব্রত গোস্বামী প্রতিষ্ঠিত শ্রীগুরু চৈতন্য সংঘের পরিচালনায় এই রথ। এই জগন্নাথ বলভদ্র এবং সুভদ্রা মাইয়া গুরুদেের শিশুকালের ভজনের ধারাক্রম।

পুরী ধামের সংকল্পিত এই রথ আজ চন্ডিপুরের মানুষের কাছে যথেষ্ঠ ঐতিহ্যপূর্ণ।৪বছরের মধ্যে রাধাগোবিন্দ মোহনরায় জীউ মন্দিরের রথে এত ভক্তবৃন্দের আগমনে চন্ডিপুর যেন শ‌্রীধামে পরিনত হয়েছে। স্থানীয় মানুষ তাঁদের গ্রামের নামেই রথের নাম রেখেছেন ” চন্ডিপুর রথ” ।

স্থানীয় এক ভক্তের কথায়, তাঁদের উদ্দেশ্য, সকলে মিলে যে একই সূতোয় আছি, আরেকবার সেটা প‌্রমান করা।
এবার রথ উৎসবে বিভিন্ন রকম ধর্মীয় ভাবধারা তুলে ধরার হয়েছে৷
যেমন, পিছিয়ে পড়া আদিবাসী সম্প্রদায়।

তাদের সাথে একসাথে কাজ করার চিন্তা-ভাবনা করা হয়েছে। তারা যেভাবে ভগবানকে পূজা করে যেভাবে ভগবানকে ভজন করেন, আর,যে, হরে কৃষ্ণ কীর্তন করে ভগবানকে ভজন করেন, যে হরিবোল বলে ভগবান কে ভজনা করেন, আমরা দেখছি সকলের গন্তব্য স্থল একটাই। সেটা হচ্ছে ভগবান।

আমরা যে যেভাবেই পুজো করি না কেন, একমাত্র ভগবানকে পাওয়ার জন্যই আমরা পুজো করি। আমরা যে যেভাবে আরাধনা করি সেটাই আমরা তুলে ধরার চেষ্টা করছি এই বছর শ্রীধাম চন্ডিপুর রথযাত্রা উৎসব এর মাধ্যমে।

এক কর্মকর্তার কথায়,এখানে চন্ডিপুরের আপামর সমস্ত জনসাধারণ আমাদেরকে সহযোগিতা করেছে। চন্ডিপুর বাজার ব্যবসায়ী সমিতি, চন্ডিপুরে যে যেভাবে ভগবানের ভজন করেন,প্রত্যেকটি সম্প্রদায়ের মানুষ আমাদেরকে সহযোগিতা করেছেন। পশ্চিম বঙ্গ পুলিশ প‌্রসাশন, চন্ডিপুর গ‌্রাম পঞ্চায়েত ও চন্ডিপুরের সমস্ত ক্লাব সংগঠন এবং আশেপাশের সমস্ত পঞ্চায়েত আমাদেরকে সহযোগিতা করেছেন।বিভিন্ন জেলা ও বিভিন্ন রাজ্য থেকেও এই রথ যাত্রায় অগণিত মানুষ এবছর এসেছেন৷ এক কথায় এবারের চন্ডিপুররের “রথ” উৎসব মিলন মেলায় পরিণত
হয়েছিল।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here