দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ তখনও নন্দীগ্রামের বক্তৃতার ৭২ ঘণ্টা কাটেনি। তার মধ্যেই শ্রীরামপুর টাউনহল থেকে নাম না করে শুভেন্দু অধিকারী ও তাঁর পরিবার নিয়ে যা নয় তাই বলেছিলেন শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।


শুক্রবার বলাগড়ে স্থানীয় মতুয়া সম্প্রদায়ের একটি অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন শুভেন্দু। সেখানেই নাম না করে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভর্ৎসনা করেন। হুগলির মাটিতে দাঁড়িয়েই তাঁর বিরুদ্ধে জনমত তৈরির চেষ্টাও করেন।

সংক্ষিপ্ত বক্তৃতার একেবারে শেষে নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, “আমি শ্রদ্ধা জানিয়েই বলছি। প্রাক্তন সাংসদ প্রয়াত অনিল বসু যখন কারও বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত অশালীন আক্রমণ করতেন তখন হুগলি জেলার মানুষ সেটা মেনে নেয়নি। আজ যদি কোনও বর্তমান জনপ্রতিনিধি আমার বা আমার পরিবারের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেন, আপনারা কি মেনে নেবেন?” সোচ্চারে জনতার চিত্‍কার, না…… । ফের শুভেন্দু বলেন, “আপনারা কি এই কালচার সমর্থন করেন?” আবার জনতার ‘না’! এরপরই মঞ্চ থেকে নেমে যান তৃণমূলের এই তরুণ নেতা।

“মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নামের গাছের তলায় বড় হয়েছিস। ৪টে মন্ত্রিত্ব পেয়েছিস, ৪ খানা চেয়ারে আছিস। কত পেট্রোল পাম্প করেছিস! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় না থাকলে মিউনিসিপ্যালিটিতে আলু বেচতিস রে, আলু বেচতিস।” নাম না করলেও কল্যাণের তির কার দিকে ছিল তা বুঝতে অসুবিধা হয়নি কারও।


যদিও গতকাল শুভেন্দুর রামনগরের বক্তৃতার পর ডিগবাজি খেয়েছেন কল্যাণ। শুভেন্দু বলেছিলেন, “আমি এখনও একটা দলের প্রাথমিক সদস্য। মন্ত্রিসভার সদস্য। মুখ্যমন্ত্রী আমায় তাড়াননি, আমিও ছাড়িনি।”
এরপরেই ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে কল্যাণ বলেন, “আমি খুব খুশি। ওঁর প্রতিটা কথাকে স্বাগত জানাচ্ছি। শিশির অধিকারী পিতৃস্থানীয়। শ্রদ্ধা করি। তাঁর পরিবারের প্রত্যেকের প্রতি ভালবাসা আছে। শুভেন্দুর প্রতিও আমার কেন সবার ভালোবাসা রয়েছে।”

এদিন স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের পাশাপাশি মঞ্চে ছিলেন প্রাক্তন বিধায়ক পারভেজ রহমান। গোটা এলাকাজুড়ে শুভেন্দুর ছবি সম্বলিত হোর্ডিংয়ে ছেয়ে দেওয়া হয়েছিল। তবে এক আধটা তৃণমূলের পতাকাও নজরে পড়েছে এদিন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here