দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ রাজ্য পুলিশ তাঁকে বহুদিন ধরেই খুঁজছে। কিন্তু দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি ফেরার ছিলেন। বুধবার পঞ্চমীর দিন বিকেলে হঠাৎ সল্টলেকের গোর্খা ভবনে উদয় হলেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা নেতা বিমল গুরুং।

এদিন সকাল থেকেই রাজনৈতিক শিবিরের গুরুংকে ঘিরে নানান জল্পনা চলছিল। এও শোনা যাচ্ছিল, নবান্নে যেতে পারেন বিমল গুরুং ও রোশন গিরি। তার পরেই জানা যায়, সল্টলেকের গোর্খা ভবনে যেতে পারেন তিনি।

বাংলায় তৃণমূল সরকারের সঙ্গে গুরুংয়ের সংঘাতের কথা অজানা নয়। সেই সংঘাতের তীব্রতা এমন জায়গায় পৌঁছেছিল যে গুরুং দার্জিলিং ছাড়তে বাধ্য হন। লুকিয়ে থেকে গোপন আস্তানা থেকে স্রেফ অডিও মেসেজ পাঠাত এই গোর্খা নেতা। একদিকে যখন গুরুং গা ঢাকা দিয়ে ছিলেন, তখন অন্যদিকে তাঁর স্থানে বিনয় তামাংকে উঠে আসতে সুবিধা করে দেয় বাংলায় শাসক দল।

  • বিমল গুরুঙ্গই এবার প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন কলকাতায়।
  • বিমলের আসার কিছুক্ষণ আগেই গোর্খা ভবনের গেটে তালা পড়ে যায়। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত গাড়িতেই কলকাতার নানান জায়গায় ‘ঘুরছেন’ বিমল গুরুঙ্গ।
  • গুরুঙ্গের কলকাতা আসা নিয়ে এদিন সকাল থেকেই জল্পনা শুরু হয়েছিল।

সেই পরিস্থিতিতে বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব গুরুংয়ের পাশে ছিল বলেই জানা গিয়েছিল। কিন্তু গত কিছুদিন যাবৎ জল্পনা চলছে যে গুরুংয়ের সঙ্গে বাংলায় শাসক দলের কিছু একটা বোঝাপড়ার চেষ্টা চলছে। তার পরই আজ বুধবার গুরুংয়ের আবির্ভাব ঘটেছে। এদিন গোর্খা ভবনে প্রবেশের মুখে গুরুংয়ের গাড়িতে এক গেরুয়া বসনধারীকে দেখা যায়।

কৌতূহলের বিষয় হল, সত্যিই কি শাসক দলের সঙ্গে কোনও সমঝোতা হয়েছে গুরুংয়ের? না হলে যে গুরুং এতোদিন গা ঢাকা দিয়েছিলেন তিনি সশরীরে সল্টলেকে কেন?

এদিন বিমল গুরুঙ্গকে প্রশ্ন করেন, সরকারের সঙ্গে কোনও কথাবার্তা হয়েছে কিনা, তাতে গুরুঙ্গ বলেন তিনি এখন কিছু বলবেন না। যা বলার গোর্খা ভবনের ভেতরে ঢুকেই বলবেন। কিন্তু গোর্খা ভবনের গেট ভেতর থেকে বন্ধ। গেটের বাইরে প্রায় ২০ মিনিট ধরে অপেক্ষা করছেন গুরুঙ্গ। গেট খোলার চেষ্টা করছে বিধাননগরের পুলিশ।

যদিও ভিতরে গিয়ে বলা হয়নি গুরুংয়ের। কারণ গেট খোলেনি। ফলে দেখা যায়, গুরুং গাড়ি ঘুরিয়ে অন্য কোনও গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। ফের গুরুংয়ের গাড়ি বাইপাস ধরে ছুটছে। কোথায় তিনি যাচ্ছেন তা স্পষ্ট নয়।

বাংলায় তৃণমূল সরকারের সঙ্গে গুরুংয়ের সংঘাতের কথা অজানা নয়। সেই সংঘাতের তীব্রতা এমন জায়গায় পৌঁছেছিল যে গুরুং দার্জিলিং ছাড়তে বাধ্য হন। লুকিয়ে থেকে গোপন আস্তানা থেকে স্রেফ অডিও মেসেজ পাঠাতেন এই গোর্খা নেতা। একদিকে যখন গুরুং গা ঢাকা দিয়ে ছিলেন, তখন অন্যদিকে তখন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চায় তাঁর স্থানে বিনয় তামাংকে উঠে আসতে সুবিধা করে দিয়েছিল বাংলায় শাসক দল।

সেই পরিস্থিতিতে বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব গুরুংয়ের পাশে ছিল বলেই জানা গিয়েছিল। কিন্তু গত কিছুদিন যাবৎ জল্পনা চলছে যে গুরুংয়ের সঙ্গে বাংলায় শাসক দলের কিছু একটা বোঝাপড়ার চেষ্টা চলছে। সেই কথা অবশ্য অডিও মেসেজে খারিজও করেছিলেন গুরুং। তার পরই আজ বুধবার গুরুংয়ের আবির্ভাব ঘটেছে।

গুরুং ললিত গ্রেট ইস্টার্নে ঢোকার মুহুর্তের ছবি,

কৌতূহলের বিষয় হল, সত্যিই কি শাসক দলের সঙ্গে কোনও সমঝোতা হয়েছে গুরুংয়ের? না হলে যে গুরুং এতোদিন গা ঢাকা দিয়েছিলেন তিনি সশরীরে সল্টলেকে কেন? কেনই বা পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করতে সক্রিয় নয়?

২০১৭ সালের পর এই প্রথমবার প্রকাশ্যে তিনি। পুলিশ অফিসার অমিতাভ মালিককে খুনের মামলায় অভিযুক্ত বিমল। রাষ্ট্রদ্রোহিতার মতো গুরুতর মামলা রয়েছে বিমল গুরুঙ্গদের বিরুদ্ধে। বিমলকে এতদিন হন্যে হয়ে খুঁজছিল পুলিশ। সেই তিনিই এবার কলকাতায়। মাঝে মধ্যেই অবশ্য অজানা আস্তানা থেকে স্রেফ অডিও মেসেজ পাঠাতেন। আর পাহাড়ে তার অনুপস্থিতিতেই উঠে আসেন বিনয় তামাং। রাজ্য সরকার তথা তৃণমূলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠে তাঁর। কিন্তু তারই মধ্যে এবার বিমল গুরুঙ্গ কলকাতা। বিজেপি ও কংগ্রেসের অভিযোগ, বিধানসভা ভোটে পাহা়ড়ের রাশ ফিরে পেতে আবার বিমল গুরুঙ্গের সঙ্গে সমঝোতা করে নিচ্ছে রাজ্য সরকার। এরপর পাহাড়ের সমীকরণ কী দাঁড়াবে, সেটাই এখন দেখার।

এই রহস্যের জট কীভাবে খোলে সে বিষয়ে এই প্রতিবেদনে আরও বিস্তারিত আসছে….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here