দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃগতকালই শতাব্দী রায় ফ্যান ক্লাব নামের এক ফেসবুক পেজে তৃণমূলকে নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করেন বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়। তিনি আক্ষেপের সুরে বলেছেন, মনে হয় কেউ কেউ চায় না আমি মানুষের কাছে যাই। তিনি আরও লেখেন, ‘আমি আমার কর্তব্য পালনের চেষ্টা করে যাব। যদি কোনো সিদ্ধান্ত নিই আগামী 16 জানুয়ারি 2021 শনিবার দুপুর দুটোয় জানাব।” শতাব্দী রায়ের এই পোস্টের পর রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল।

বেসুরো হওয়ার পরে সম্ভবত দিল্লি যাচ্ছেন তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়। তারাপীঠ উন্নয়ন পর্ষদ থেকে পদত্যাগ করেছেন তিনি। এলাকায় যেতে চাইছি,কিন্তু পৌছাতে পারছেন না তিনি এমনটাই অভিযোগ করেছেন তিনি। দিল্লি গিয়ে অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করার প্রসঙ্গে ইঙ্গিতপূর্ণ ভাবে বলেন, পরিচিত মানুষদের দেখা হতে পারে।  তবে দেখা হওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। 

আর আজ শতাব্দী রায়ের আচমকাই দিল্লী সফর তৃণমূলে নতুন করে অস্বস্তি সৃষ্টি করল। তিনি অমিত শাহের সঙ্গে দেখা হওয়ার প্রসঙ্গে বলেন, দিল্লীতে যাচ্ছি পরিচিতদের সাথে দেখা হতেই পারে। ওনার এই মন্তব্যে রাজ্য রাজনীতিতে জোর জল্পনা।

মুখ্যমন্ত্রীকে সমস্যার কথা আগে কেন জানাননি, এই উত্তরে শতাব্দী রায় বলেন, অনেক সময় মনে হয় জানিয়ে কোনও লাভ হয়না। জানানো মানে কি নিজের সম্মান নষ্ট করা। তবে তৃণমূলের সঙ্গে কোন কোন বিষয়ে সমস্যা, সেই বিষয়ে তিনি খোলসা করেননি। প্রসঙ্গত গতকাল শতাব্দী রায়ে একটি ফ্যান পেজ থেকে ফেসবুক পোস্টে বলা হয়, ‘ গত দশ বছরে আমি আমার বাড়ির থেকে বেশি সময় আপনাদের কাছে বা আপনাদের প্রতিনিধিত্ব করতে কাটিয়েছি, আপ্রাণ চেষ্টা করেছি কাজ করার, এটা শত্রুরাও স্বীকার করে। তাই এই নতুন বছরে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার চেষ্টা করছি যাতে আপনাদের সঙ্গে পুরোপুরি থাকতে পারি। আপনাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।’ এখানেই শেষ হয়নি শতাব্দীর লেখা। এরপরেই রয়েছে বিস্ফোরক বার্তা। যেখানে অভিনয় জগত থেকে রাজনীতিতে পদার্পণ করা শতীব্দী লিখেছেন, ‘আশা করি ভবিষ্যতেও আপনাদের ভালোবাসা পাব। সাংসদ অনেক পরে, তার অনেক আগে থেকেই শুধু শতাব্দী রায় হিসেবেই বাংলার মানুষ আমাকে ভালোবেসে এসেছেন। আমিও আমার কর্তব্য পালনের চেষ্টা করে যাব। যদি কোনো সিদ্ধান্ত নিই আগামী ১৬ জানুয়ারি ২০২১ শনিবার দুপুর দুটোয় জানাব।’

তৃণমূলের এই অভিনেত্রী সাংসদের বিজেপিতে যোগ দেওয়ার তীব্র জল্পনা বাড়ছে। কয়েকদিন আগে বোলপুরে পদযাত্রা করেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাতে নেত্রীর পাশেই দেখা গিয়েছিল শতাব্দীকে। মিছইলের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মমতার সঙ্গেই তাল মিলিয়ে হেঁটেছিলেন বীরভূমের সাংসদ। তার কয়েকদিন যেতে না যেতেই এবার বেসুরো হলেন তিনি। 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here