দেশের সময় ওযেবডেস্কঃ দেশে আরও কমল দেশে দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যু। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ২৭ হাজার ৫১০ জন। একদিনে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ৭৯৫ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়েছেন ২ লাখ ৫৫ হাজার ২৮৭ জন।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২ কোটি ৮১ লাখ ৭৫ হাজার ৪৪। মোট সুস্থ হয়েছেন ২ কোটি ৫৯ লাখ ৪৭ হাজার ৬২৯ জন। মোট মৃতের সংখ্যা ৩ লাখ ৩১ হাজার ৮৯৫। এই মুহূর্তে দেশে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ১৮ লাখ ৯৫ হাজার ৫২০।


৫১ দিন পর দেশের দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা নামল দেড় লক্ষের নীচে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ১ লক্ষ ২৭ হাজার ৫১০ জন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে, দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা হল ২ কোটি ৮১ লক্ষ ৭৫ হাজার ৪৪ জন।
দৈনিক সংক্রমণ কম এবং দৈনিক সুস্থ বেশি হওয়ার জেরে দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা কমছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সক্রিয় রোগী কমেছে ১ লক্ষ ৩০ হাজারেরও বেশি। আপাতত দেশে সক্রিয় রোগী রয়েছেন ১৮ লক্ষ ৯৫ হাজার জন।

দৈনিক সংক্রমণ কমার পাশাপাশি দেশে দৈনিক মৃত্যুর কমছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ৭৯৫ জনের। ২৭ এপ্রিলের পর মঙ্গলবার প্রথমবার দেশের দৈনিক মৃত্যু ৩ হাজারের নীচে নামল। গত বছর থেকে এখনও অবধি করোনাভাইরাস প্রাণ কেড়েছে ৩ লক্ষ ৩১ হাজার ৮৯৫ জনের।

এদিকে, করোনার প্রথম ঢেউয়ে ভাইরাসের সবচেয়ে বেশি বলি হয়েছিলেন বয়স্করা। কিন্তু দ্বিতীয় ঢেউয়ে উল্লেখযোগ্য ভাবে কমে গিয়েছে বয়স্কদের মৃত্যুহার। তবে তাৎপর্যপূর্ণ হারে বেড়েছে কম বয়সিদের মৃত্যু। বলা ভালো, মাঝবয়সিদের মৃত্যুর নজির। চিকিৎসকদের অভিজ্ঞতা, ৩১-৪৫ বছর বয়সিদের ভিড় লক্ষ্যণীয় হারে বাড়ছে আইসিইউ-গুলিতেও। বিশেষজ্ঞদের অনুমান, এর নেপথ্যে রয়েছে করোনার নয়া স্ট্রেনের চরিত্র, কমবয়সিদের বেপরোয়া জীবনযাত্রা, বয়স্কদের সাবধানী হয়ে যাওয়া এবং টিকাকরণের মতো বেশ কয়েকটি ফ্যাক্টর। চিন্তা বেড়েছে, শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার নজির বেড়ে চলা নিয়েও।

অন্যদিকে, বাংলায় করোনা সংক্রমণের গ্রাফ ক্রমশ নিম্নমুখী। বাড়ছে সুস্থতার হারও। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজার ১৩৭ জন। রবিবার যা ছিল, ১১ হাজার ২৮৪ জন এবং করোনা মুক্ত হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন, ১৭ হাজার ৮৫৬ জন। মৃত্যু হয়েছে ১৩১ জনের। একদিকে যেমন সুস্থতার হার বেড়েছে তেমনই কমেছে মৃত্যু সংখ্যাও।

তবে উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় সংক্রমণের হার কমলেও, তা লাগোয়া জেলাগুলির তুলনায় কম। এই জেলায় গত সপ্তাহে পজিটিভিটি রেট ছিল ৪৮ শতাংশ। রবিবার পর্যন্ত তা ছিল ২৬ শতাংশ হয়েছে বলে সরকারি সূত্রে খবর। স্বাভাবিক ভাবেই লাগোয়া জেলাগুলির তুলনায় উত্তর ২৪ পরগনায় কেন এখনও নিয়ন্ত্রণে আসছে না সংক্রমণ, তা চিন্তায় ফেলেছে প্রশাসনকে।

দৈনিক সংক্রমণ কম এবং দৈনিক সুস্থ বেশি হওয়ার জেরে দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা কমছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সক্রিয় রোগী কমেছে ১ লক্ষ ৩০ হাজারেরও বেশি। আপাতত দেশে সক্রিয় রোগী রয়েছেন ১৮ লক্ষ ৯৫ হাজার জন।

রাজ্যে রাজ্যে আক্রান্ত কম হতেই দেশে দৈনিক আক্রান্ত কমতে শুরু করেছে। মহারাষ্ট্রের দৈনিক আক্রান্ত নেমেছে ১৫ হাজারের ঘরে। কর্নাটক এবং কেরলেও তা যথাক্রমে ১৬ হাজার ৬০৪ এবং ১২ হাজার ৩০০ জন। গত দু’দিন ধরে তামিলনাড়ুর দৈনিক সংক্রমণও ৩০ হাজারের নীচে থাকছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ২৭ হাজার ৯৩৬ জন। অন্ধ্রপ্রদেশেও আক্রান্ত নেমেছে ৭ হাজারের ঘরে নেমে গিয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গে তা ১০ হাজারের ঘরে নেমেছে। ওড়িশাতেও দৈনিক সংক্রমণ হচ্ছে ১০ হাজারের কম। অসমে তা সাড়ে ৩ হাজারের কম এবং পঞ্জাবে তা আড়াই হাজারের আশপাশে। এছাড়া উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, গুজরাত, মধ্যপ্রদেশে, তেলঙ্গানা, বিহার, হরিয়ানার মতো রাজ্যে দৈনিক আক্রান্ত ২ হাজারে নীচে নেমেছে। দিল্লি, ঝাড়খণ্ড, হিমাচল প্রদেশে ১ হাজারের কম মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন গত কয়েকদিন ধরেই।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here