দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ শুভেন্দু–গড়ে মমতা। আর মমতা–গড়ে শুভেন্দু। সোমবার এই দুই জনসভার দিকেই আপাতত তাকিয়ে বঙ্গের রাজনৈতিক মহল। শুভেন্দুর অধিকারীর বিজেপিতে যোগদানের পর গত ৭ ডিসেম্বরই নন্দীগ্রামে জনসভা করার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রীর। কিন্তু কোনও এক ‘‌অজ্ঞাত’‌ কারণে শেষমেশ তা হয়নি। 

শাসক–শিবিরের দাবি ছিল, রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরি করোনা আক্রান্ত হওয়ায় সভার পরিকল্পনা বাতিল করতে হয়েছিল। অন্যদিকে বিজেপির দাবি ছিল, ‘‌ভয় পেয়েছেন মমতা!’‌ আর সেই কারণেই সোমবারের জনসভায় তৃণমূলের একমাত্র লক্ষ্য, শক্তিপ্রদর্শন। ঘাসফুল শিবিরের দাবি, তিন লক্ষ লোক হবে নেত্রীর জনসভায়।

এই নন্দীগ্রাম থেকেই বঙ্গ রাজনীতির পালবদল ঘটেছিল এক সময়ে। আবারও ঘুরে ফিরে সেই নন্দীগ্রামই এখন বঙ্গ রাজনীতির আলোকবৃত্তে। নন্দীগ্রাম দিবসে বিরাট জনসভা করে বিজেপি নেতা শুভেন্দু হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, ‘‌দুই মেদিনীপুর মিলিয়ে ৩৫টি আসনের ৩৫টিতেই তৃণমূল কংগ্রেস হারবে। দিদিমণি এবারও আপনি এখানে দ্বিতীয় হবেন। প্রথম হবে বিজেপি।’ আগামীকাল তৃণমূল নেত্রী কী বার্তা দেন, সেদিকেই নজর গোটা রাজ্যের। তৃণমূল সূত্রে খবর, রবিবার কাঁথি শহরে মিছিল করবে তৃণমূল কংগ্রেস। কাঁথি সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ড থেকে শুরু হবে মিছিল। শেষ হবে পোস্ট অফিস মোড়ে। মিছিলে উপস্থিত থাকবেন তৃণমূল নেতা তরুণ জানা, উত্তম বারিক, হাবিবুর রহমান, শেখ সাত্তার–সহ একাধিক নেতারা।

অন্যদিকে মমতার দক্ষিণ কলকাতার গড়ে পদযাত্রা করবেন শুভেন্দু। সোমবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ টালিগঞ্জ মেট্রো স্টেশন থেকে রাসবিহারী মোড় পর্যন্ত পদযাত্রায় অংশ নেবেন তিনি। আগামীকাল শুভেন্দুর পদযাত্রায় শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাজির থাকার কথা রয়েছে, গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর। 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here