দেশের সময়: আগামী বৃহস্পতিবার ২২ এপ্রিল এই রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ষষ্ঠ দফা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশনের নতুন নিয়ম অনুযায়ী এখন ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ৭২ ঘন্টা আগেই প্রচারের কাজ শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলিকে। সেই অনুযায়ী আজই শেষ হলো প্রচারের কাজ। আর শেষ দিনের প্রচারে ঝড় তুললেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীরা।

হাবরায় ছবি তুলেছেন দেবানন্দ পাইন।


এদিন বিকেলে হাবরায় শেষদিনের প্রচারে বিশাল রোড শো করলেন হাবরা বিধানসভা এলাকার তৃণমূল প্রার্থী তথা খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তাঁর রেলিতে উপস্থিত ছিলেন টিভি সিরিয়ালের বেশ কয়েকজন অভিনেতা অভিনেত্রী। ছিলেন গায়ক নচিকেতা চক্রবর্তী। নানান ভাবে সাজানো হয়েছিল এই মিছিল।

হুডখোলা গাড়িতে উপস্থিত ছিলেন জ্যোতিপ্রিয়। মিছিলে পা মেলান নেতা-নেত্রীরা। রঙিন করে তুলতে বিভিন্ন আদিবাসী নাচ, ফুটবল খেলা, ধামসা মাদল উপস্থিত করা হয়। রাস্তার দু’ধারে অসংখ্য মানুষ মিছিলকে উদ্দেশ্য করে এবং প্রার্থী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে উদ্দেশ্য করে হাত নাড়েন। চোংদা মোড় পর্যন্ত এই মিছিল যায়। এদিনই বনগাঁ বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী আলো রানী সরকার এর প্রচার এর শেষ মুহূর্তে হাজির ছিলেন অভিনেত্রী লাভলী মৈত্র। এদিন সকাল থেকেই প্রার্থী নিজে তাঁর দলীয় কর্মীদের নিয়ে টোটো তে করে গোটা এলাকায় প্রচার করেন।

অন্যদিকে অশোকনগর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী নারায়ন গোস্বামী এদিন সকালে তাঁর নিজের এলাকার অলিগলিতে রোড শো করেন। বিকেলে তাঁর হয়ে প্রচারে আসেন মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বক্তব্য রাখতে গিয়ে ব্রাত্য বলেন, নারান দা অত্যন্ত ভালো মানুষ, কাজের মানুষ। তাঁর মত একজন মানুষকে বিধায়ক হিসেবে পেতে তাঁকে বিপুল ভোটে জয়ী করুন।

এদিন গাইঘাটা বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সুব্রত ঠাকুরের হয়ে প্রচারে আসেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। জনসভা থেকে তিনি বক্তব্যও রাখেন।

গাইঘাটার নির্দল প্রার্থী সজল বিশ্বাস প্রচারে ঝড় তুলেছেন পায়ে হেঁটে, গাইঘাটা থানার মানিকহীরা এলাকার বাসিন্দা ডাক্তার বিশ্বাস এদিন বিভিন্ন এলাকায় ছুটে বেড়ান। এই বিধানসভা এলাকার গোটাটাই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার অন্তর্ভুক্ত। অধিকাংশই কৃষিজীবী মানুষ। এই বিধানসভা এলাকার মধ্যেই ঠাকুরনগর ঠাকুরবাড়ি যেটি মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষের অন্যতম তীর্থস্থান।

ডাক্তার সজল বিশ্বাস একসময় বিজেপির সক্রীয় কর্মী হিসেবে এলাকায় পরিচিত থাকার কারণে তিনি এবারের নির্বাচনে গাইঘাটা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হবেন বলে দাবি জানিয়েছিল এলাকার মানুষ। কিন্তু বিজেপি নেতৃত্ব শেষ পর্যন্ত ঠাকুরবাড়ির সদস্য তথা মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুরের বড় ছেলে সুব্রত ঠাকুরকে প্রার্থী করেছে। এই কারণে এলাকার একাংশের বিজেপি কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এই পরিস্থিতিতে এলাকার মানুষের দাবি মেনেই ভারতীয় জনসংঘ এর সমর্থনে নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়ে পড়েন সজল বিশ্বাস। পেশায় চিকিৎসক এই নির্দল প্রার্থীর প্রতীক চিহ্ন স্টেথোস্কোপ। তাঁর সমর্থনে এদিন এলাকায় ঘুরেছে প্রচুর ট্যাবলো। সব মিলিয়ে শেষ দিনে জমজমাট হয়ে উঠল ভোট প্রচার।


LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here