দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ রাজনীতিতে অনেক সময় কিছু না বলাও অর্থবহ ওঠে। তেমনটাই হল মঙ্গলবার। খেজুরি হার্মাদ মুক্তদিবস উপলক্ষ্যে এদিন পদযাত্রা করেন পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। সেই পদযাত্রার ব্যানারে তৃণমূল তো ছিলই না উল্টে শুভেন্দুর কর্মসূচিতে যোগ দিলেন দুই তৃণমূল বিধায়ক। এক খেজুরির রঞ্জিত মণ্ডল এবং দুই কাঁথি দক্ষিণের বিধায়ক বনশ্রী মাইতি।


১০ নভেম্বর ‘রক্তস্নাত সূর্যোদয়ের বর্ষপূর্তি’ বা রামনগরের সমবায় মেগা শো-তে তৃণমূলের কোনও বিধায়ককে দেখা যায়নি। এদিন দুই বিধায়কের উপস্থিতিকে তাত্‍পর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের অনেকে।
প্রতিবছর তৃণমূলের ব্যানারে এই কর্মসূচি হয়। কিন্তু এদিন সেসব ছিল না। বরং পদযাত্রার মূল ব্যানারে শুভেন্দুকে বাংলার মুক্তিসূর্য বলে আখ্যায়িত করা হয়। খেজুরির বাঁশগোড়া বাজার থেকে কামারদা পর্যন্ত পদযাত্রা করেন পরিবহণ ও সেচমন্ত্রী।

শুভেন্দুর মন বুঝতে দৌত্য চালাচ্ছে তৃণমূল। প্রবীণ নেতা তথা সাংসদ সৌগত রায় মধ্যস্থতার চেষ্টা করছেন। সোমবারও কলকাতায় সৌগত-শুভেন্দু বৈঠক হয় বলে খবর। কিন্তু সেই বৈঠকে কী হয়েছে তা নিয়ে দুজনের কেউই মুখ খোলেননি। তবে এদিন পদযাত্রা শেষে ২০১০-এর ২৪ নভেম্বর তিনি কী ভাবে সিপিএমের সশস্ত্র বাহিনীকে প্রতিহত করে খেজুরি থেকে ওড়িশা কোস্টাল পোস্ট পার করে সুনিয়ার চরে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন সে কথার উল্লেখ করেন।

তার বাইরে আর বিশেষ কোনও মন্তব্য করেননি।
শুভেন্দু শাসকদলে থাকবেন নাকি গর্তে ভরা পথ এড়িয়ে হোঁচট না খাওয়ার রাস্তায় হাঁটবেন তা নিয়ে যখন কৌতূহল তুঙ্গে তখন খেজুরির পদযাত্রার দুটি বিষয় নিয়ে নতুন জল্পনা তৈরি হয়েছে। তা হল, একে তো তৃণমূলের বদলে শুভেন্দু অধিকারীর কর্মসূচি হয়ে উঠেছিল তার উপর সেখানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের দুই বিধায়ক। এর মধ্যেই আবার শুভেন্দু অনুগামী বলে পরিচিত জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ সিরাজ খান দায়িত্ব ছাড়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। অন্যদিকে সিরাজের সঙ্গে কৈলাস বিজয়বর্গীয়র একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। যা নিয়েও গুঞ্জন চলছে পূর্ব মেদিনীপুরে।

সব মিলিয়ে যে জল্পনা নন্দীগ্রাম দিবসে দানা বেঁধেছিল, সমবায় সপ্তাহ হয়ে খেজুরি দিবসেও তা জারি রইল। এর অবসান হয় কবে সেটাই এখন দেখার।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here