হাইলাইটস্: এগিয়ে এনডিএ, ফলাফল আসতে রাত হবে, জানাল নির্বাচন কমিশন

  • বিহার বিধানসভা নির্বাচনের আপডেট
  • একদিকে এনডিএ, অপরদিকে জেডিইউ

*দুপুর সওয়া ৩টে পর্যন্ত ১ কোটি ৬৯ লক্ষ ভোটগণনা হয়েছে বিহারে, জানাল কমিশন। 

  • কার মুখে ফুটবে হাসি
  • দেখতে থাকুন ফলাফল

>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>

রাজনৈতিক দল : এনডিএ/ মহাজোট/ এলজেপি/ অন্যান্য>>>>>>>>>>>

এনডিএ– এগিয়ে ~ ১২৬জয়ী o২

আরজেডি– এগিয়ে ~ ১০৩ জয়ী o১

এলজেপি-এগিয়ে ~ o১> জয়ী oo

অন্যান্য– এগিয়ে~ ০৯ >  জয়ী oo

>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>

এ যেন সাপ-লুডো’র খেলা চলছে বিহার নির্বাচনে! ১২৩ আসনে ব্যবধান ৩ হাজারেরও কম

বিহার কার? আস্থা বেশি কোন পক্ষে বর্ষীয়ান না তরুণ তুর্কি? কয়েক ঘন্টার মধ্যেই জানা যাবে সেই ফলাফল। তবে এখনও পর্যন্ত এগিয়ে রয়েছে এনডিএ। বিহারে গেরুয়া ঝড় বজায় থাকারই ইঙ্গিত রয়েছে এখনও। বিহারে এখনও এগিয়ে গেরুয়া ঝড়। ১২৩টি আসনে ব্যবধান মাত্র ৩ হাজারেরও কম ব্যবধান রয়েছে। মগধ ও সারান ছাড়া সব জোনে এগিয়ে এনডিএ। 

মুহুর্তে মুহুর্তে বদলাচ্ছে ট্রেন্ড। এখনও পর্যন্ত আসন সংখ্যা বিচারে ভোটের ব্যবধান বেশি নেই। তাই পট পরিবর্তন হতে পারে যখন তখন এমনটাই মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।

বেলা বারোটার তথ্য অনুসারে, মাত্র ২০ শতাংশ ভোট গণনা করা হয়েছে। বিহারে ৯৯ টি আসন রয়েছে যেখানে ভোটের ব্যবধান ২০০০ ভোটের চেয়ে কম। একই সঙ্গে এখানে ৫৪টি আসন রয়েছে যেখানে ভোটের পার্থক্য ১০০০ এরও কম। যেখানে ২৮টি আসন রয়েছে যেখানে ৫০০টিরও কম ভোটের পার্থক্য রয়েছে। স্পষ্টতই, এই আসনগুলি যে কোনও সময় পরিবর্তন হতে পারে।

তবে এবারের নির্বাচনের ফলাফল দেরিতে প্রকাশ হবে বলেই জানান হয়েছে নির্বাচন কমিশনের তরফে। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, করোনার বিষয়টি মাথায় রেখে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৭২ হাজার ৭২৩টি থেকে বাড়িয়ে ১ লক্ষ ৬ হাজার ৫১৫টি করা হয়েছে। করোনার মহামারীর পরিপ্রেক্ষিতে সামাজিক দূরত্বের ব্যবস্থাগুলি মেনে চলার লক্ষ্যে পোলিং বুথগুলির সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। তাই ফল প্রকাশে দেরি হতে পারে।

এখনও পর্যন্ত যা চিত্র সেখানে এনডিএ একটি সুস্পষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, এনডিএ ১২৭টি  আসনে এগিয়ে রয়েছে। যদিও মহাগঠবন্ধনও ১০৩ টিরও বেশিতে এগিয়ে আছে। রাজ্যের বৃহত্তম দল হিসাবে উঠে এসেছে বিজেপি। বর্তমানে ৭৩টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। আরজেডি ৬৪টি আসনে এগিয়ে রয়েছে।

*দ্বারভাঙার চারটি আসনের ফল ঘোষণা। তিনটি আসনে জয়ী বিজেপি।  একটিতে জেডি(ইউ)।

*দ্বারভাঙায় প্রায় ১০ হাজার ভোটে জিতলেন বিজেপি-র সঞ্জয় সারাওগি। আরজেডি-র সঞ্জয় সারাওকে পরাজিত করলেন তিনি।

*ইমামগঞ্জে ফের এগোলেন জীতন রাম মাঁঝী। আগে আরজেডি-র উদয় নারায়ণ চৌধরির কাছে পিছিয়ে পড়েছিলেন তিনি। এখনও পর্যন্ত ৩২ হাজারের বেশি ভোট পেয়েছেন জীতন রাম মাঁঝী। আরজেডি প্রার্থী রয়েছেন ২৫ হাজারে।

*দুপুর ২টো পর্যন্ত বিহারের ৭টি আসনে দুই শীর্ষ দলের মধ্যে ভোটের ব্যবধান ২২০-র কম।  ৪৯টি আসনে ভোটের ব্যবধান ১০০০-এর কম।

• ‘আর কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। যা বলেছি, তা করে দেখাব’, মন্তব্য আরজেডি সাংসদ মনোজ ঝায়ের।

• ৫০ হাজারের বেশি সার্ভিস ব্যালটের গণনা বাকি রয়েছে। ভোটের ফল বেরোতে মধ্যরাত হয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে কমিশন।

• চতুর্থ রাউন্ডে গণনার পর রামগড়ে এগিয়ে রয়েছেন বিএসপি-র অম্বিকা সিংহ। তিনি ৩২ হাজার ৭৫৯ ভোট পেয়েছেন। বিজেপির অশোক সিংহ পেয়েছেন ২৮ হাজার ১৯৭ ভোট।

চৈনপুরে বহুজন সমাজ পার্টির (বিএসপি) জামা খান ১ হাজার ৯৬ ভোটে এগিয়ে রয়েছেন। তিনি ১৫ হাজার ৩৬১ ভোট পেয়েছেন। বিজেপির ব্রিজকিশোর বিন্দ পেয়েছেন ১৪ হাজার ২৬৫ ভোট। 

• সকাল ৮টায় গণনা শুরু হওয়ার পর ৫ ঘণ্টায় ৮৭ লক্ষ ৮৮ হাজার ৭৮০ ভোট গোনা সম্ভব হয় বলে জানাল নির্বাচন কমিশন। এ বছর মোট ৪ কোটি মানুষ ভোট দিয়েছেন বিহারে।

দুপুর ১২টা পর্যন্ত গণনা সম্পূর্ণ হওয়ার পর দেখা গিয়েছে, ১৭০ আসনে ২ হাজারেরও কম ব্যবধান রয়েছে। 

• পটনায় বিজেপি এবং জেডি(ইউ) সমর্থকদের উচ্ছ্বাস। 

• ৬ রাউন্ড গণনার পর হসনপুরে এগিয়ে তেজ প্রতাপ যাদব।  এখনও পর্যন্ত ১৫ হাজার ভোট পেয়েছেন তিনি। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জেডি(ইউ) নেতা ১২ হাজার ভোট পেয়েছেন।

• নির্বাচন কমিশনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বেলা ১১টা পর্যন্ত ১১৭ আসনে এগিয়ে রয়েছে এনডিএ। এর মধ্যে ৬৩ আসনে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। জেডি(ইউ) এগিয়ে রয়েছে ৪৮ আসনে। ৯৫ আসনে এগিয়ে রয়েছে মহাজোট। এর মধ্যে আরজেডি এগিয়ে রয়েছে ৬১ আসনে। কংগ্রেস ১৯ এবং বামেরা ১৫ আসনে এগিয়ে রয়েছে। অর্থাৎ এই মুহূর্তে একক বৃহত্তম দল হওয়ার পথে বিজেপি।

• নাগাদ দৌড়ে এগিয়ে গেল এনডিএ। বেলা পৌনে ১১টায় ১২৬ আসনে এগিয়ে রয়েছে তারা। মহাজোট এগিয়ে ১০০ আসনে।

হসনপুরে জেডি (ইউ) নেতা রাজকুমার রায়ের কাছে পিছিয়ে পড়লেন তেজপ্রতাপ যাদব। সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত তেজপ্রতাপের ঝুলিতে  ৪ হাজার ভোট পড়েছে। রাজকুমার রায় ৫ হাজার ৬০০ ভোট পেয়েছেন।

• বাঁকীপুরে পিছিয়ে প্লুরালস পার্টির পুষ্পম প্রিয়া চৌধরি। কংগ্রেসের লব সিনহাও পিছিয়ে রয়েছেন।

• লক্ষ্মীসরাইয়ে পোস্টাল ব্যালট গণনায় বিজেপির বিজয়কুমার সিনহা এগিয়ে। ১ হাজার ২৮৭ ভোট পেয়েছেন তিনি। কংগ্রেসের অমরেশকুমার আনিস পেয়েছেন ১ হাজার ৩৩ ভোট। 

• সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত রাঘোপুরে প্রায় ৭০০ ভোটে এগিয়ে তেজস্বী যাদব। প্রথম রাউন্ডের গণনার পর তাঁর ঝুলিতে ২ হাজার ৫১২ ভোট পড়েছে। বিজেপির সতীশ কুমার পেয়েছেন ১ হাজার ৭৮৫ ভোট। 

• জল্লে বিধানসভা কেন্দ্রে এগিয়ে বিজেপির জীবেশ কুমার। পিছিয়ে পড়েছেন কংগ্রেসের মকসুর উসমান।

অউরাইয়ে বিজেপির  রাম সুরত রাই এগিয়ে। মুজফ্ফরনগরে কংগ্রেসের বিজেন্দ্র চৌধুরী এগিয়ে। 

• আরজেডি-র বাচ্চা পান্ডে বাহরিয়ায় এগিয়ে রয়েছেন। 

• সকাল ৯টা পর্যন্ত ৬৭ আসনে এগিয়ে রয়েছে আরজেডি নেতৃত্বাধীন মহাজোট। ৩৫টি আসনে এগিয়ে এনডিএ শিবির। 

• বিজেপির সুরেশ শর্মা এগিয়ে মুজফ্ফরপুরে।

• হসনপুরে এগিয়ে তেজ প্রতাপ যাদব।

• শেখপুরায় এগিয়ে জেডি(ইউ)-এর রণধীর সোনি। বারবিঘাতে এগিয়ে কংগ্রেসের গজানন্দ শাহি।  

• রাঘোপুরে এগিয়ে তেজস্বী যাদব।

• বিহারে ২৪৩ আসনে ভোটগণনা চলছে। 

বিহার বিধানসভা নির্বাচনে কে এগিয়ে থাকেবে। কোন আসনে কে করবে বাজিমাত। সব আপডেটে থাকবে এখানে। করোনা অতিমারির মধ্যে এবারের বিহারের ভোট অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। বিহারের মোট বিধানসভার আসনসংখ্যা ২৪৩। ভোটার সংখ্যা ৭ কোটি ৩০ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ৭৮ লাখ নতুন ভোটার। বিহারের নির্বাচনে একদিকে রয়েছে এনডিএ। অন্যতম জোটসঙ্গী মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের দল জেডিইউ লড়ছে ১১৫টি আসনে। বিজেপি লড়ছে ১১০টি আসনে। বিকাশশীল ইনসান পার্টি লড়ছে ১১টি আসনে এবং জিতন রাম মাঝির হিন্দুস্তান আওয়াম মোর্চা লড়ছে ৭টি আসনে। অপরদিকে রয়েছে বিরোধীদের মহাগঠবন্ধন। সেখানে লালু প্রসাদের দল আরজেডি লড়ছে ১৪৪টি আসনে। কংগ্রেস লড়ছে ৭০টি আসনে। সিপিআই-এমএল লড়ছে ১৯ আসনে। সিপিআই ৬টি আসনে ও সিপিএম ৪টি আসনে।

বিহারের নির্বাচনে এবার ভোটারের সংখ্যা ৭.১৮ কোটি। বিহারের নির্বাচনে বরাবরই বড় ভূমিতা থেকেছে জাতপাতের। তবে সমীক্ষা বলছে এবারের নির্বাচনের ছবিটা অন্য। এবার বিহারে ৪২ শতাংশ ভোটারই ভোট দান করেছেন উন্নয়নের নিরিখে। ৩০ শতাংশ মানুষ ভোট দিয়েছেন বেকারত্বের ইস্যুতে। এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, এবারের নির্বাচনী ইস্তাহারে, এনডিএর তরফে ১৯ লক্ষ চাকরির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। একইভাবে ইস্তাহারে ১০ লক্ষ চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছে আরজেডিও। এছাড়াও ভোটদানের ক্ষেত্রে বিবেচনার বিষয় হয়ে উঠেছে মূল্যবৃদ্ধি, আইনশৃঙ্খলা এবং দুর্নীতির মত বিষয়গুলিও। সমীক্ষা বলছে, এবছর ১১ শতাংশ মানুষ ভোট দিয়েছেন মূল্যবৃদ্ধির নিরিখে৷

অন্যদিকে আবার নির্বাচনকে ঘিরে বিতর্কও উঠেছে এসেছে বিভিন্ন সময়। ক্ষমতায় এলে বিনামূল্যে করোনা টিকা প্রদানের ঘোষণা করেছিল বিজেপি। যার জেরে রীতমতো ছড়ায় বিতর্ক। বিজেপি টিকা নিয়ে রাজনীতি করছে বলেও অভিযোগ করেন বিরোধীরা। যদিও পরে অবশ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে ক্লিন চিট দেওয়া হয় বিজেপিকে। এদিকে এবারের নির্বাচনই তাঁর শেষ নির্বাচন বলে ঘোষণা করেছেন বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার।

সেক্ষেত্রে নিজের পরাজয় নিশ্চিত জেনে নীতীশ আবেগের ভিত্তিতে ভোট বৈতরণি পার করার চেষ্ঠা করছেন বলেও খোঁচা দেন বিরোধীরা। অন্যদিকে আবার কেন্দ্র ও রাজ্যের ‘ডবল ইঞ্জিন’, অর্থাৎ দুই সরকারের সহযোগিতায় বিহার উন্নতির নয়া মাইল ফলক স্পর্শ করবে বলে সে রাজ্যের মানুষের উদ্দেশ্যে খোলা চিঠি দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও।

এবার একাই লড়েছে প্রয়াত প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ানের দল লোক জনশক্তি পার্টি। এবারের নির্বাচনের ফলে তাদের কী ভূমিকা হয় সেটাও দেখার। ২৪৩ আসন বিশিষ্ট বিহার বিধানসভায় জিততে গেলে ১২২টি আসন পেতে হবে। সেই ম্যাজিক ফিগারের দিকে কে এগিয়ে যাবে সেটাই দেখার। যদিও শাসক ও বিরোধীদের সমস্ত প্রতিশ্রুতি এবং আবেদন নিবেদনে ভোটারদের মন কতটা ভিজল তা অবশ্য জানা যাবে আর কয়েক ঘণ্টা পরেই৷

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here