দেশের সময়: –রাজ্য বিজেপির নেতৃত্বে বদল আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।শেনা যাচ্ছে ২০২১ এর বিধানসভাকে সামনে রেখে নতুন করে সাজানো হতে পারে বিজেপির রাজ্য স্তরের নেতৃত্বকে।বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের এখন পাখির চোখ এরাজ্যের শাসন ভার নেওয়া।

আর তার জন্যই নতুন করে সাজিয়ে তোলার পরিকল্পনা চলছে রাজ্য নেতৃত্বকে আর ধারালো ও আক্রমনাত্মক করে তোলার।আর বিজেপির শীর্ষ নেতাদের এই ভাবনার সূত্র ধরেই রাজ্যজুড়ে একটা ভাবনা ঘুরপাক খাচ্ছে তা হল এবার কি তবে রাজ্য সভাপতির পদে দিলীপ ঘোষের বদলে মুকুল রায়কে দেখা যাবে?

এই সম্ভাবনাকে কিন্তু একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না,যদিও এটাও ঠিক যে দিলীপ ঘোষ ও তাঁর অনুগামিরা এখনও রাজ্য বিজেপিতে মুকুল রায়ের কর্তৃত্ব মেনে নিতে পারছেন না।দিলীপ ঘোষতো এটাও মানতে রাজি নন যে এবারের লোকসভায় বিজেপিযে এ রাজ্যে চমকে দেওয়ার মত ফল করেছে তার পেছনে মুকুল রায়ের ক্যারিসমা কজ করেছে।

তাঁর মতে এটা বিজেপির সাংগঠনিক ক্ষমতা বৃদ্ধি ও প্রচারের ফল।তবে যে কেুউই এ রাজ্যের বাস্তব পরিস্থিতির দিকে লক্ষ্য করলে বুঝতে পারবেন যে,এ রাজ্যে বিজেপির সাংগঠনিক শক্তি সেই অর্থে তেমন কিছুই নেই।অন্তত লোকসভা ভোটের আগে তো ছিল না,শুধু মাত্র তৃণমূল শিবিরে নানা ফাঁক-ফোঁকর তৈরি করে মুকুল রায়ই যে তৃণমূলকে একেবারে নাস্তানাবুদ করে দিয়েছেন তা দিলীপ ঘোষরা মানতে না চাইলেও মেনে নিয়েছেন অমিত শাহরা।তাই মনে করা হচ্ছে এবার রাজ্য নেতৃত্বের বদলের সম্ভবনা তৈরি হওয়ায় মুকুল রায় হয়তো বড় দায়িত্ব পেতে চলেছেন।

এর একটি সূত্রের খবর দিলীপ ঘোষের রাজ্য সভাপতি হওয়ার মেয়াদ ষশেষ হয়ে আসছে।ফলে এখন রাজ্য নেতাদের বদল করলে রাজ্য সভাপতি হিসেবে মুকুল রায়ের চেয়ে ভাল মুখ আর কেউ নেই বিজেপিতে।একই সঙ্গে বিজেপি অন্দর মোহলে জোর খবর এ রাজ্যে বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক হিসেবে আর থাকছেন না কৈলাশ বিজয়বর্গীয়।তাঁর জায়গায় মেনন এবার একাই দেখবেন রাজ্য বিজেপির কাজকর্ম।

এতদিন মেনন কৈলাশজির সহযোগি হিসেবে কাজ করেছেন।কৈলাশ বিজয়বর্গীয় আবার মুকুল রায়ের একান্ত ঘনিষ্ট ছিলেন,তাই তাঁর সরে এই সূত্রেই অনেকে মনে করছেন মুকুল রায়ের চাহিদা এবার বিজেপি দপ্তরে কমবে।এরই মধ্যে মুকুল রায় বিজেপির রাজ্য দপ্তরে থাকার সময় কমিয়ে দিয়েছেন,তিনি সাংবাদিক সম্মেলন করলেও তা করেন তাঁর নিজের বাড়িতে বা নিজাম প্যালেসে।

এসব করে অনেকের মতে তিনি বিজেপির দিল্লির নেতাদের বার্তা দিতে চেয়েছেন রাজ্য দপ্তরে বসতে হলে তাঁকে নির্দিষ্ট পদ দিতে হবে।অনেক দিন হয়ে গেলেও অনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে মুকুল রায় কোন পদাধিকারি তা নির্দিষ্ট করা হয়নি এখনও।যে মানুষটি একদা এ রাজ্যের শাসক দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড ছিলেন তাকে নিয়ে এসে তৃণমূলের রাতের ঘুম কেড়ে নিলেও সেই মানুষটিকে যথার্থ পদ দিয়ে সম্মান জানাতে না পারলে যে শেষ পর্যন্ত বিজেপির ক্ষতি হতে পারে মানছেন বিজেপির শীর্ষ নেতারা,তাই এবার হয়তো মুকুল রায়ের জন্য কোন পদের ব্যবস্থা হতেও পারে।

বিজেপির রাজ্য সভাপতি হওয়ার পরবর্তী দৌড়ে যে মুকুল রায় অনেকটা এগিয়ে আছেন তা নেমে নিচ্ছেন বিজেপি রাজ্য নেতাদেরও অনেকে।শোনা যাচ্ছে আগামী ১০ আগষ্ট এ রাজ্যে আছছেন বিজেপি কার্যনির্বাহী সর্বভারতীয় সভাপতি,তিনি একেবারে অমিত শাহের বার্তা নিয়েই আসছেন। তিনিই স্থির করে দেবেন পরবর্তী বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের দায়িত্বে কে কে আসছেন।দিলীপবাবুরা যাই বলুন এবার যে বিধানসভার দিকে লক্ষ রেখেই বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বকে ঢেলে সাজাতে তত্পর হবেন তাতে কোন সন্দেহ নেই।

মকুল রায়ের অনুগামীরা আশায় আছেন এবার মুকুল রায় হয়তো কোন বাধ্যবাধকতা না মেনেই রাজ্য বিজেপিকে পরিচালনা করতে পারবেন।এখন দেখার রাজ্য বিজেপির রাশ কার হাতে থাকে দিলীপ ঘোষ নাকি মকুল রায়ের।রাজ্য বিজেপির রাশ হাতে পেলে মুকুল রায়ের চানক্য কৌশল যে আর ধারালো হয়ে উঠবে তা কিন্তু অনেকেই মানছেন।

তবে একটা কিন্তু থাকছেই,তা হল দিলীপবাবু আবার আরএসএসের প্রিয় পাত্র,বিজেপি সাধাণত আরএসএসের লেোকজনদের চটায় না,এক্ষেত্রে কী হয় সেটাই এখন দেখার।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here