দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ মেয়ের শ্লীলতাহানি রুখতে গিয়ে দুষ্কৃতীদের আক্রমণে প্রাণ হারালেন মা। এই ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠেছে বাগনান। বিজেপির নেতৃত্বে চলছে জাতীয় সড়ক অবরোধ। পরিস্থিতি সামাল দিতে পৌঁছেছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। এই ঘটনায় গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামী কুশ বেরাকে গ্রেফতার করল পুলিশ।

মঙ্গলবার রাতে মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করে ঘর থেকে বেৱিয়ে ছাদে উঠে গেছিলেন কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। রাতে সেখানেই মাদুর পেতে শুয়েছিলেন তিনি। অভিযোগ, বেশি রাতে বাড়ির পাশের সুপারি গাছ বেয়ে ছাদে উঠে আসে বাগনান ১ নম্বর ব্লকের গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যের স্বামী কুশ বেরা ও আরও একজন। তাঁরা ওই তরুণীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। প্রাণ ও সম্ভ্রম বাঁচাতে চিৎকার শুরু করেন তরুণী। আওয়াজ পেয়ে দ্রুত ছাদে উঠে আসেন তাঁর মা। অভিযোগ তখনই ওই দুষ্কৃতীরা মেয়েকে ছেড়ে মাকে ধাক্কা মেরে ছাদ থেকে ফেলে দেয়। এরপর ঘটনাস্থল থেকে ছুটে পালায় তারা।

এরপর মেয়েটির চিৎকারে স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে আসেন। ছাদ থেকে পড়ে গুরুতর জখম ওই মহিলাকে উলুবেড়িয়া হাসপাতালে নিয়ে যান তাঁরা। সেখানেই মৃত বলে ঘোষণা করা হয় ওই মহিলাকে। সকালে এই খবর জানাজানি হতেই উত্তেজনা ছড়াতে থাকে। ওই কলেজ ছাত্রী বলেন, ‘‘মার সঙ্গে ঝগড়া করে আমি ছাদে উঠে এসেছিলাম। আমি শুয়ে শুয়ে মোবাইলে একটা গেম দেখছিলাম। হঠাৎই গাছ বেয়ে দুজন ছাদে উঠে আসে। তাদের এতজন আমার পা টেনে ধরে। একজন আমার মুখ চেপে ধরে। আমি কোনও মতে একবার মা বলে চিৎকার করতে পেরেছিলাম। তা শুনতে পেয়েই মা দৌড়ে ছাদে উঠে এসেছিল। তখনই ওরা মাকে ধাক্কা দিয়ে ছাদ থেকে ফেলে দেয়।’’এরপর ঘটনাস্থল থেকে ছুটে পালায় তারা।

এরপর মেয়েটির চিৎকারে স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে আসেন। ছাদ থেকে পড়ে গুরুতর জখম ওই মহিলাকে উলুবেড়িয়া হাসপাতালে নিয়ে যান তাঁরা। সেখানেই মৃত বলে ঘোষণা করা হয় ওই মহিলাকে। সকালে এই খবর জানাজানি হতেই উত্তেজনা ছড়াতে থাকে। ওই কলেজ ছাত্রী বলেন, ‘‘মার সঙ্গে ঝগড়া করে আমি ছাদে উঠে এসেছিলাম। আমি শুয়ে শুয়ে মোবাইলে একটা গেম দেখছিলাম। হঠাৎই গাছ বেয়ে দুজন ছাদে উঠে আসে। তাদের এতজন আমার পা টেনে ধরে। একজন আমার মুখ চেপে ধরে। আমি কোনও মতে একবার মা বলে চিৎকার করতে পেরেছিলাম। তা শুনতে পেয়েই মা দৌড়ে ছাদে উঠে এসেছিল। তখনই ওরা মাকে ধাক্কা দিয়ে ছাদ থেকে ফেলে দেয়।’’

বারবার বাগনান থানায় গেলেও পুলিশ অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে বলেও অভিযোগ করেছেন ওই কলেজ ছাত্রী। তিনি বলেন, পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামীর নামে অভিযোগ করতে গিয়েছিলাম। তাই থানা আমাকে ফিরিয়ে দেয়।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় ও সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। অপরাধীদের গ্রেফতারের দাবিতে  বাগনান থানার সামনেও শুরু হয় বিক্ষোভ। পরে সৌমিত্র খাঁর নেতৃত্বে ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে আসেন উলুবেড়িয়ার এসডিপিও। তিনি সেখানেই ওই ছাত্রীর এফআইআর নেন। পরে হাওড়া থেকে গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত কুশ বেরাকে। তার সঙ্গীর খোঁজে তল্লাশি চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায় বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে দলের বিধায়ক এবং কাউন্সিলর গ্রেফতার হয়েছে।দোষ করলে কাউকে রেয়াত করা হয় না। আজকের ঘটনাতেও দোষীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিজেপি ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছে। অভিযুক্ত তৃণমূলের কেউ নয়। আর তৃণমূল অপরাধীর রং দেখে না।’’ তাঁর পাল্টা দাবি ওই ছাত্রীর সঙ্গে  অভিযুক্তের অবৈধ সম্পর্ক ছিল। তাই সে ওই ছাত্রীর বাড়িতে গিয়েছিল।

যদিও ওই কলেজ ছাত্রী এ কথা পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন। তাঁর মায়ের দেহের ময়নাতদন্ত নিয়েও জটিলতা তৈরি হয়েছে বলে জানা গেছে। করোনা টেস্ট না করে দেহ ময়নাতদন্ত হবে না বলে হাসপাতাল থেকে জানানো হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here