দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ মেঘলা দিনকে সঙ্গী করেই বর্ষবরণের আনন্দে মেতে উঠবে বাঙালি। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার মেঘাচ্ছন্ন থাকবে শহর কলকাতা। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছোঁবে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকার কথা ২৭ ডিগ্রির কাছকাছি। অস্বস্তি বজায় থাকলেও, এদিন প্রখর রৌদ্রের তাপ সহ্য করতে হবে না পয়লার আনন্দে মাতোয়ারা তিলোত্তমাবাসীকে।

হাওয়া অফিস জানিয়েছে, পয়লা বৈশাখে শহর না ভিজলেও, আগামীকাল অর্থাৎ শুক্রবার বজ্র-বিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে শহরে। ওই দিন তাপমাত্রার পারদ চড়বে ৩৮ ডিগ্রিতে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও থাকার কথা ২৭ ডিগ্রির কাছাকাছি।

উল্লেখ্য, বুধবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের তুলনায় ৩ ডিগ্রি বেশি। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের চেয়ে এক ডিগ্রি বেশি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ৭৪ এবং ৫৭ শতাংশ।

এই বছর রেকর্ড গরমের সাক্ষী থেকেছে মার্চ এবং এপ্রিল। উত্তরোত্তর তাপমাত্রা বাড়বে, এ কথা আগেই জানিয়ে দিয়েছিল মৌসম ভবন। এমনকী এও জানানো হয়েছিল যে উষ্ণতার দিক থেকে ১২১ বছরে তৃতীয় স্থান দখল করেছে এই বছরের মার্চ মাস। ২০০৪ এবং ২০১০ সালে এহেন তপ্ত গ্রীষ্মের সাক্ষী থেকেছে দেশ। আবার সেই চিত্রের পুনরাবৃত্তি ঘটল ২০২১ সালে। কলকাতা সহ দেশের বেশ কিছু শহরের তাপমাত্রা মার্চেই ৩২-৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়েছিল। পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন স্থানে তাপপ্রবাহ বইতে শুরু করেছে গত মাস থেকেই। রাজস্থান ২৯-৩১ মার্চ পর্যন্ত তাপপ্রবাহের সাক্ষী থেকেছে। পূর্ব রাজস্থানে লু বইতে দেখা গিয়েছে ৩০-৩১ মার্চ। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ সহ ওড়িশা, অন্ধ্র প্রদেশের উপকূল এলাকা, তামিনাড়ুতে তাপপ্রবাহ বইতে শুরু করেছিল ৩০ মার্চ থেকে।

তবে এরই মাঝে কিছুটা হলেও স্বস্তি দিয়েছে কালবৈশাখী। কিছুদিন আগেই প্রথম কালবৈশাখীর সাক্ষী থেকেছে বঙ্গ। উত্তরবঙ্গেও ভারী শিলাবৃষ্টি হয়েছে। যদিও এর জেরে তাপমাত্রায় বিশেষ কোনও পরিবর্তন হয়নি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here