দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ কেন্দ্রে ফের নরেন্দ্র মোদী সরকার গঠনের পর এই প্রথম বার কাল দিল্লি সফরে যেতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্ন সূত্রে বলা হচ্ছে, ২০ তারিখ পর্যন্ত দিল্লিতে থাকতে পারেন তিনি। এই সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গেও তাঁর সৌজন্য সাক্ষাত হতে পারে।

কিন্তু হঠাৎ কেন দিল্লি যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী? উদ্দেশ্য কী? তা কী শুধু প্রশাসনিক কারণে, নাকি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যও রয়েছে।

প্রসঙ্গত, রবিবারই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইট করে বলেছিলেন, দেশে সুপার এমার্জেন্সি চলছে। মুখ্যমন্ত্রীর ওই টুইট করার কয়েক ঘন্টার মধ্যে নবান্নে পৌঁছে গিয়েছিলেন সিবিআই অফিসাররা। কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের খোঁজ পেতে তাঁরা নবান্নে নোটিস দিয়ে আসেন।

সোমবার সকালেও সিবিআইয়ের তরফে মুখ্য সচিবকে রাজীবের ব্যাপারে নোটিস দেওয়া হয়েছে। এ দিন দুপুর দু’টোর সময় সিবিআই দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে তাঁকে।

লোকসভা ভোটের পর প্রধানমন্ত্রী পদে নরেন্দ্র মোদীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল বংলার মুখ্যমন্ত্রীকে। মমতা যাবেন বলে স্থির করেছিলেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে জানতে পারেন বাংলায় রাজনৈতিক হিংসায় খুন হওয়া বিজেপি কর্মীদের পরিবারের সদস্যদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মোদী। তা শুনেই দিল্লি সফর বাতিল করে দেন তিনি। তার পর আর দিল্লি যাননি।

তার পর থেকে কেন্দ্র-রাজ্য যে খুব সুখের সম্পর্ক চলছে তা নয়। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আগাম আলোচনা না করে রাজ্যে নতুন রাজ্যপাল হিসাবে জগদীপ ধনকড়কে নিয়োগ করা হয়েছে। তা সোশাল মিডিয়াতে জানিয়েও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে এও ঠিক যে তার পাশাপাশি অন্তত দু’বার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ-র সঙ্গে তাঁর ফোনে কথাও হয়েছে।

তৃণমূলের একটি সূত্রের মতে, মুখ্যমন্ত্রীর দিল্লি সফর কখনওই শুধু প্রশাসনিক বৈঠকের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না। তিনি সংসদে একবার যান। সেই সঙ্গে সমমনোভাবাপন্ন রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন। এ বারও হয়তো তার অন্যথা হবে না। তবে খাতায়-কলমে এখনও অ্যাজেন্ডা স্পষ্ট নয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here