পিয়ালী মুখার্জী ,কলকাতা; ভবানীপুর অবসর সর্বজনীন দুর্গোৎসব সমিতির পুজো এবার সম্পূর্ণ অভিনব ভাবনায় হচ্ছে ৷ তাঁদের মণ্ডপসজ্জা বর্তমান আবহের এক দৃষ্টান্ত। আমরা সকলেই এই অতিমারী কালে অনেক পরিজন ও  প্রিয়জনকে হারিয়েছি। এবারে তাঁদের পুজোর থিম সেই সব মানুষদের নিয়েই যাঁরা না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছেন মারণ রোগে।  দেখুন ভিডিওঃ


ক্লাবে সম্পাদক  বাসুদেব ব্যানার্জী জানালেন, মানুষ দীর্ঘদিন  ধরে ঘরবন্দি এই অতিমারীর জন্য। তাই তাঁরা তাঁদের মণ্ডপ ও পুজোর বাজেট দুটোতেই বহর কমিয়েছেন। আসে পাশের বাড়ি গুলি না ঢেকে এবারের মণ্ডপের পরিসর ছোট করেছেন। কারণ হিসাবে বললেন, বড় মণ্ডপ হলে পাশের বাড়িগুলো ঢেকে যায় , তাতে মানুষের বন্দি দশা অবস্থায় যেটুকু আকাশ দেখা যায় সেটাও ঢেকে যাবে আর আলো বাতাসও বন্ধ হয়ে কোলাহল বাড়বে সেই জন্য এবার  ওই বাড়িগুলির একটিকেই মণ্ডপের মধ্যে সংযোজন করেছেন। দেখে মনে হচ্ছে যেন ওই বাড়িরই একটি সম্পূর্ণ পুজো মণ্ডপ।

অভিনব এই ভাবনায় স্থান পেয়েছেন সেই সব অতিমারীর ছোবলে জীবন থেকে চির অবসর নেওয়া মানুষ গুলির ছবি। এটাই তাঁদের প্রতি ওই অবসর ক্লাবের শ্রদ্ধার্ঘ।
ক্লাবের আর এক সদস্য কৌশিক চ্যাটার্জী বলেন যে সমস্ত সদস্য এই পুজোর সাথে অতীতে নিবিড় ভাবে জড়িত ছিলেন যাঁদের জন্য পুজো এই পর্যায়ে পৌঁছেছে তাঁদের সকল কে তারা এই পুজোর সত্বে জড়িয়ে রাখতেই মণ্ডপে ছবির ব্যাবহার করেছেন। 

স্তম্ভগুলি যেন সেই সব মহীরুহ সদস্যদের প্রতিচ্ছবি ,তাঁদের প্রতি সম্মান জানাতেই আমাদের এই প্রচেষ্টা। তাঁদের অনবদ্য থিম সং টি শুনে অনেক দশনার্থীদের মনে দাগ কাটতে শুরু করেছে । ভাষ্য পাঠের  সঙ্গে একটি শিশু কণ্ঠের গানের ব্যাবহার করেছেন এই থিম সং এ। সব মিলিয়ে এক মন্ত্রমুগ্ধ পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে ভবানীপুর অবসর পুজো প্রাঙ্গনে।শনিবার মহাচতুর্থীর পুণ্য লগ্নে এই পুজোর উদ্বোধন করেন  মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের এই বিরল ভাবনার সন্মান হিসাবে পেতে শুরু করেছে বিশেষ পুরস্কারও।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here