দেশেরসময় বনগাঁ: করোনার ভ্যাকসিন দেওয়াকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার বনগাঁ পুরসভার একাধিক কেন্দ্রে  ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।পুলিশের সাথে বচসায় জাড়িয়ে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা।মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে বনগাঁ পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের টাউন হল  ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের রামকৃষ্ণ পল্লী ভ্যাকসিন কেন্দ্রে। দেখুন ভিডিও:

এই ঘটনার জন্য বনগাঁর উত্তরের  বিজেপির বিধায়ককেই কাঠগড়ায়  দাঁড় করাল পুরসভা কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে, বিজেপি বিধায়কের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে ভ্যাকসিন দেওয়া নিয়ে স্বজনপোষণ চলছে পুরসভা এলাকায়।

পুরসভা সূত্রের খবর, বনগাঁ পুরসভা এলাকায় ৫ টি কেন্দ্রে  নিয়ম করে সাধারণ মানুষকে করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। চাহিদার তুলনায় যোগান অনেক কম থাকার কারণে ভ্যাকসিন পেতে আগের দিন রাত থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন বহু মানুষ।

বনগাঁ উত্তর কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়ার অভিযোগ, ‘সাধারণ মানুষ দীর্ঘসময় ধরে  লাইনে দাঁড়িয়ে থাকলেও ভ্যাকসিন মিলছে  না তাঁদের ‘

তাঁর আরও অভিযোগ, ‘শাসক দলের কিছু ব্যক্তি নিজেদের লোকজন ঢুকিয়ে তাদের ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করছে। অথচ যারা লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন ঘন্টার পর ঘন্টা তারা ভ্যাকসিন পাচ্ছেন না।’

এদিন  তিনি সাংবাদমাধ্যমকে জানান , ‘কেন্দ্র সরকার বিনামূল্যে ভ্যাকসিন পাওয়ার ব্যবস্থা করলেও  বনগাঁতে ভ্যাকসিন দেওয়া নিয়ে অনিয়ম চলছে‌।’ এদিন তিনি বনগাঁ টাউন হল এলাকার ক্যাম্পে পৌঁছাতেই সেখানে সাময়িক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। স্বাস্থ্য কর্মীদের সঙ্গেও বচসায় জড়িয়ে পড়েন তিনি।

এ ব্যাপারে বনগাঁর পুরপ্রশাসক গোপাল শেঠ বলেন, ‘কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের নির্ধারিত নির্দেশিকা মেনেই ভ্যাকসিন কেন্দ্রগুলি থেকে সাধারণ মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। আগে এলে আগে পাওয়ার ভিত্তিতেই এই ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। কারও কোনও সুপারিশ গ্রাহ্য করা হচ্ছে না। তিনি পাল্টা অভিযোগ করে বলেন ‘বিজেপি বিধায়ক ভ্যাকসিন কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে মানুষকে উত্তেজিত করছেন। এমনকি স্বাস্থ্য কর্মীদের ওপর হামলার চেষ্টাও করেন। এ ব্যাপারে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে  বিজেপি বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া জানান, ‘স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি থেকে টোকেন সিস্টেম চালু করলে সাধারণ মানুষকে হয়রানির হাত থেকে রক্ষা করা যেতে পারে এবং ভ্যাকসিন দেওয়া নিয়ে কোনও অভিযোগও উঠবে না, পাশাপাশি দুর্নীতিও আটকানো যাবে।

এই প্রসঙ্গে গোপাল শেঠ জানান, ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রে টোকেন পদ্ধতি চালু করার ব্যাপারে সরকারের কোনও গাইডলাইন দেওয়া নেই। তাই এই ধরনের কোনও প্রস্তাব মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। যারা আগে লাইনে এসে দাঁড়াবেন, সরবরাহ অনুযায়ী তারাই আগে ভ্যাকসিন পাবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here