দেশের সময়, বনগাঁ:ভিনরাজ্যে শ্রমিকের কাজ করতে গিয়ে অস্বাভাবিক মৃত্যু হল বনগাঁর এক যুবকের। শুধু তাই নয়, মৃত্যুর পর কোনো সার্টিফিকেট ছাড়াই একপ্রকার জোর করে মৃতদেহ অ্যাম্বুলেন্স করে গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হল। এই ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে গ্রামে বিক্ষোভ দেখালেন এলাকার মানুষ। বনগাঁ থানার কালুপুর এলাকার এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।


জানা গেছে, কালুপুর পঞ্চায়েতের জিয়ালা গ্রামের যুবক কেনারাম ভট্টাচার্য (২০) মাসখানেক আগে হায়দ্রাবাদে রাজমিস্ত্রির জোগাড়ের কাজ করতে যান। ভীম মন্ডল নামে এলাকারই এক ব্যক্তির মাধ্যমে তিনি সেখানে কাজে যান। কেনারামের পরিবারের অভিযোগ, দিন কয়েক আগে কেনারাম বাড়িতে তাঁর মাকে ফোন করে জানান যে, কাজের ওখানে তাঁকে শারীরিকভাবে এবং মানসিকভাবে অত্যাচার করা হচ্ছে। তিনি বাড়ি ফিরে আসতে চান। কিন্তু তাঁকে কিছুতেই বাড়ি ফিরতে দেওয়া হচ্ছে না। এ ব্যাপারে পরিবারের পক্ষ থেকে ভীমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, ভীম কুড়ি হাজার টাকা দাবি করে বলে পরিবারের অভিযোগ।

এই ঘটনার পর শনিবার কেনারাম কাজে না যাওয়ায় ভীম খোঁজ নিতে আসে। গণেশ দাস নামে একজনকে দিয়ে তাঁর ঘরে পাঠানো হলে গণেশ গিয়ে দেখেন যে, ঘরের ভেতরে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছেন কেনারাম। অভিযোগ, এরপর মৃতদেহ নামিয়ে স্থানীয় পুলিশ কে কিছু না জানিয়ে গণেশকে দিয়েই অ্যাম্বুলেন্সে করে মৃত্যুর সার্টিফিকেট ছাড়াই কেনারামের মৃতদেহ বনগাঁর জিয়ালা গ্রামে পাঠিয়ে দেয় ভীম। মৃতদেহ গ্রামে পৌঁছাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এলাকার মানুষ। তাঁদের সন্দেহ, কেনারাম কে খুন করা হয়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে বনগাঁ থানার পুলিশ গিয়ে গ্রামবাসীদের শান্ত করে মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠায়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here