দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ করোনা সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ভ্যাকসিন তৈরি করার চেষ্টা চালাচ্ছে পৃথিবীর প্রায় সব দেশ। ভারতও তার ব্যতিক্রম নয়। এদেশে করোনাভাইরাসের প্রায় ৩০টি ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ চলছে। তার মধ্যে তিনটি ভ্যাকসিনের ট্রায়াল সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে বলেই জানালেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডক্টর হর্ষ বর্ধন।

শুক্রবার লোকসভায় একটি লিখিত প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে একথা বলেন ডক্টর হর্ষ বর্ধন। তিনি বলেন, ভ্যাকসিন তৈরি হয়ে যাওয়ার পরে কী ভাবে তা সবার মধ্যে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে সেই বিষয়ে একটি উচ্চপর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরি করা হয়েছে। তারাই পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “প্রায় ৩০টি ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ চলছে আমাদের দেশে। এই ভ্যাকসিন গুলি প্রি-ক্লিনিক্যাল ও ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে। তার মধ্যে তিনটি ভ্যাকসিন ফেজ ১/২/৩ ট্রায়ালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। এছাড়া আরও চারটি ভ্যাকসিন প্রি-ক্লিনিক্যাল ডেভেলপমেন্ট পর্যায়ে রয়েছে।”

ভ্যাকসিনের বণ্টন নিয়ে ডক্টর হর্ষ বর্ধন বলেন, “একবার ভ্যাকসিন আমাদের হাতে চলে এলে তারপর তা বণ্টন করা হবে। বর্তমানে ইউনিভার্সাল ইমিউনিসেশন প্রোগ্রামের আওতায় যেভাবে অন্যান্য ভ্যাকসিনের বণ্টন হয়, করোনার ভ্যাকসিনের বণ্টনও একই ভাবে করা হবে।”

শুক্রবার সংসদে দাঁড়িয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ভারতে ইতিমধ্যেই ডিপার্টমেন্ট অফ বায়োটেকনোলজির আওতায় পাঁচটি ন্যাশনাল কোভিড ১৯ বায়োরিপোসিটরিজ তৈরি করা হয়েছে। যে ১৬ টি বায়োরিপোসিটরিজের নেটওয়ার্ক তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তারই অংশ হিসেবে এই পাঁচটি তৈরি করা হয়েছে। এই কাজে ডিপার্টমেন্ট অফ বায়োটেকনোলজি ছাড়াও ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ ও কাউন্সিল অফ সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চও যুক্ত রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

হর্ষ বর্ধন জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত ৪৪ হাজার ৪৫২টি নমুনা পরীক্ষা করে ১৭টি ভাইরাসকে আলাদা করা সম্ভব হয়েছে। সেই ভাইরাস গুলি নিয়ে গবেষণা চলছে। সেগুলি ব্যবহার করেই ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চালাচ্ছেন গবেষকরা। শুধু তাই নয়, আরও নতুন ভ্যাকসিন আবিষ্কার করার চেষ্টা চলছে বলেই জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here