দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ ভাগাড় কাণ্ডের অন্যতম মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে খারিজ হয়ে গেল বনগাঁ আদালতের রায়।  রাজ্য সরকার হাইকোর্টের সিদ্ধান্তে ধাক্কা খেল। ভাগাড়ের পচা মাংস তুলে এনে দোকানে দোকানে সরবরাহের অভিযোগে রাজ্য যখন উত্তাল, সেই সময় অভিযানে নেমেছিল বনগাঁ পুরসভা। পুর অভিযানে বনগাঁ শহরের দুই নামী রেস্তোরাঁ ওয়াই ফাই এবং মাকালী হোটেল থেকে পচা মাংস ও মাছ উদ্ধার করা হয়।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত স্বরূপ সেনকে দোষী সাব্যস্ত করে ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৭২ ও ২৭৩ ধারায় রায় ঘোষণা করে বনগাঁ আদালত। দোষীর ৫ বছর জেল ও ১ লক্ষ টাকা জরিমানার নির্দেশ দেয় বনগাঁ আদালত।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে ভাগাড় কাণ্ডে রাজ্যে  শোরগোল ছড়ায়। পচা মাংস উদ্ধার অভিযানে নামে একাধিক পুরসভা। দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে প্রথম অভিযোগ ওঠে ভাগাড়ের মাংস বাণিজ্যিক ভাবে হোটেলে, রেস্তোরাঁয় বিক্রি করার।  সেখানে পচা, নিম্ন গুণমানের মাংস, মাছ বিক্রির অভিযোগ ওঠে। অনেক ধরপাকড় হয় অভিযানে।

২০১৮র ৫ মে সঙ্গে পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে বনগাঁ পুরসভা অভিযানে নামে। বনগাঁ শহরের দুই নামী রেস্তোরাঁ ও  হোটেল থেকে ৬ কেজি পচা মাংস ও ৩ কেজি পচা মাছ উদ্ধার করে পুলিশ। মাছ ও মাংস বিষাক্ত বলে দাবি করা হয় তদন্তে৷

২০১৯ এর ২৬ জুন রায় ঘোষণা করেছিলেন বনগাঁর অতিরিক্ত জেলা বিচারক। সেই রায় চ্যালেঞ্জ করা হয় হাইকোর্টে। আদালত বলেছে, পুলিশের তদন্তে তথ্য প্রমাণাদির শৃঙ্খল স্পষ্ট হচ্ছে না। কিছু কিছু জায়গায় তদন্তে ধোঁয়াশা আছে।

তদন্তে একাধিক খুঁত, ত্রুটি ধরা পড়েছে। রান্না করা পচা মাংস খেয়েছেন, এমন কোনও খদ্দের এই মর্মে জবানবন্দি দেননি যে, তিনি ওই খাবার খেয়ে  অসুস্থ হয়েছেন। অর্থাৎ পচা মাংসের খাবার বিক্রির অভিযোগ সঠিক ভাবে প্রমাণিত হয়নি।

নিম্ন আদালতের আদেশ খারিজ করে বিচারপতি  সব্যসাচী ভট্টাচার্য দ্রুত আসামী স্বরূপ সেনকে বন্দিদশা থেকে রেহাইয়ের নির্দেশ দিয়েছেন। হাইকোর্টের আজকের রায়ে ভাগাড় কাণ্ডের বাকি মামলাগুলির ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here