তুরস্কের ফটোগ্রাফার মেহমত আসলান এমনই একটি ছবি ক্যামেরাবন্দি করেছেন যা যে কোনও মানুষের চোখেজল এনে দিতে পারে মুহুর্তেই৷


এই ছবির মাধ্যমে এমন এক বাবা-ছেলের ভালোবাসা দেখানো হয়েছে, যারা লাখো কষ্টের মধ্যেও হাসছেন।
হাসি আনন্দকে বর্ণনা করে। কোন মানুষ কতটা খুশি তা জানান দেয় মুখের হাসি। তবে কিছু মানুষ আছেন যাঁরা দুঃখের দিকে তাকিয়ে হো হো করে হেসে উঠতে পারেন। ভাগ্য এবং দৈব দুর্বিপাকের মুখে ঝামা ঘষে নিজেদের মনে আনন্দ খুঁজে নিতে পারেন।

এমনই একটি মন কাড়া ছবি সামনে এসেছে। যেখানে বিস্ফোরণে পা হারানো এক পিতা হাত-পা বিহীন জন্মানো সন্তানকে নিয়ে হাসছেন জীবনের দিকে তাকিয়ে, সমস্যার দিকে তাকিয়ে। সকলকে শেখাচ্ছেন, জীবনে আনন্দে থাকার জন্য ঐশ্বর্য-বৈভবের প্রয়োজন নেই। চূড়ান্ত প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও ওদের মুখের হাসি কেড়ে নেওয়ার ক্ষমতা নেই জীবনের।

তুরস্কের ফটোগ্রাফার মেহমত আসলান এমনই একটি ছবি ক্যামেরাবন্দি করেছেন যা যে কোনও মানুষের চোখকে আর্দ্র করে তুলতে পারে। এই ছবিটি শুধুমাত্র কাউকে আবেগপ্রবণ করে তোলার ক্ষমতা রাখে না, জীবনে হেরে যাওয়া মানুষকে উৎসাহিত করারও ক্ষমতা রাখে। এই ছবির মাধ্যমে এমন এক বাবা-ছেলের ভালোবাসা দেখানো হয়েছে, যারা লাখো কষ্টের মধ্যেও হাসছেন। এই ছবিটি বছরের সেরা ছবি নির্বাচিত হয়েছে।

মেহমত আসলানের এই ছবিটি সিরিয়া-তুরস্ক সীমান্তে হৈতে প্রদেশের রেহনালিতে বসবাসকারী একজন সিরীয় উদ্বাস্তু পিতা-পুত্রের আনন্দ ধরে রেখেছে। ছবিতে দেখা যায়, বাবা-ছেলে দুজনেই প্রতিবন্ধী, তবুও তারা হাসছেন। সে জন্য এই ছবিটি সিয়েনা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড ২০২১-এ ‘ফটো অফ দ্য ইয়ার’ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে।
এই ছবির পিতা সিরিয়ার একটি বাজারে বোমা বিস্ফোরণে তাঁর পা হারিয়েছিলেন। গর্ভবতী স্ত্রী গৃহযুদ্ধের সময় একটি বিষাক্ত গ্যাসের সংস্পর্শে এসেছিলেন, যার ফলে পুত্র অঙ্গবিহীন জন্মগ্রহণ করেছিল। বাবার এক পা না থাকলে ছেলের হাত-পা দুটোই নেই, তারপরও দুজনেই হাসে। কঠোর পরিশ্রমে বাবা-ছেলের এই সুখকে ক্যামেরায় বন্দি করেছেন আসলান।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here