দেশের সময়: ভোট বড় বালাই। আর তাই দুদিন আগেও যারা একে অপরের প্রতি বিষোদগার করছিলেন, তাঁরাই আবার সমস্ত বিবাদ ভুলে একসঙ্গে ভোটযুদ্ধে নামলেন। বৃহস্পতিবার ঠাকুর বাড়িতে গিয়ে শান্তনু ঠাকুর কে সঙ্গে নিয়ে ঠাকুর বাড়ির নাট মন্দিরে পুজো দিলেন বাগদা বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস।


অন্তর্দ্বন্দ্বের কারণে মাস কয়েক আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন বনগাঁ উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের তৎকালীন তৃণমূল বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। এরপর বিজেপির মধ্যেই তাঁকে নিয়ে একটা মতবিরোধ তৈরি হয়। পুরনো বিজেপি নেতা, কর্মীদের একাংশের সঙ্গে ব্যবধান বাড়তে থাকে বিশ্বজিৎ দাসের। সেই তালিকায় বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরও রয়েছেন।

কিছুদিন আগে অমিত শাহ যখন ঠাকুরনগরে সভা করতে আসেন, সেই অনুষ্ঠানে বিশ্বজিৎ দাসকে অসম্মানিত করা হয়েছিল বলে তাঁর দাবি। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শান্তনু ঠাকুর এর সঙ্গে বিশ্বজিতের বিবাদ চরমে ওঠে। সাংবাদিক বৈঠক করে শান্তনুর বিরুদ্ধে নিজের ক্ষোভের কথা উগড়ে দেন বিশ্বজিৎ।

প্রতিউত্তরে শান্তনু পরোক্ষে হুমকিস্বরূপ তখন বলেন, মতুয়া ভোট বিশ্বজিৎ দাস কিভাবে পান তা দেখা যাবে। এরপর বিজেপির প্রার্থী তালিকায় বাগদা আসনের জন্য বিশ্বজিৎ দাসের নাম স্থান পায়। উল্লেখ্য, এই মহকুমার চারটি আসনের মধ্যে বাগদাতে মতুয়া ভোটার তুলনায় বেশি। এই পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক কারণেই হয়তো বিজেপি নেতৃত্ব বিশ্বজিৎ এবং শান্তনুর মধ্যেকার দ্বন্দ্ব মেটাতে চায়। আর সেই কারণেই কি এদিন ঠাকুর বাড়িতে হাজির হয়েছিলেন বিশ্বজিৎ ?

এই প্রশ্নের উত্তরে বিশ্বজিৎ বলেন, ‘ঠাকুরবাড়ির সঙ্গে আমার সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুর মন্ত্রী থাকাকালীন তাঁর সঙ্গে পারিবারিক সম্পর্ক তৈরি হয়। শান্তনু আমার ভাইয়ের মতো।’ অন্যদিকে, শান্তনু ঠাকুর বলেন, ‘এক পরিবারে থাকতে গেলে যেমন দাদা-ভাইয়ের মধ্যে মতবিরোধ তৈরি হয়, তেমনি আমাদের মধ্যে হয়েছিল। তা সব মিটে গেছে। এখন আমরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ভোট যুদ্ধে শামিল হবো।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here