দেশের সময়: নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বনগাঁ হাইস্কুলকে এবার মডেল বুথ হিসেবে তৈরি করা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে সেখানে দূরত্ব বজায় রেখে গোল কেটে দেওয়া হয়েছে। সেখানে লাইন করে দাঁড়িয়ে ভোটাররা এক এক করে ভোট দিতে যাচ্ছেন। এই ব্যবস্থাপনায় খুশি এই বুথের ভোটাররা।


বৃহস্পতিবার রাজ্যের ষষ্ঠ দফার নির্বাচনে বনগাঁ মহাকুমা বড় ধরনের ঘটনা ঘটলো। এদিন বিকেলে বাগদার রনঘাট এলাকায় পুলিশ এবং গ্রামবাসীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। গ্রামবাসীদের হামলায় বাগদা থানার ওসি এবং আরো এক পুলিশকর্মীর মাথায় আঘাত লাগে। তাদেরকে প্রথমে বাগদা এবং পরে কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

একইসঙ্গে জখম হয়েছেন একজন সেক্টর অফিসার। পাশাপাশি পুলিশের গুলিতে জখম হয়েছেন দুজন গ্রামবাসী। তাদেরকে বনগাঁ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। যদিও গ্রামবাসীদের দাবি, আরো তিনজন পুলিশের গুলিতে সামান্য আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পুলিশ অবশ্য গুলি চালানোর কথা অস্বীকার করেছে।

এ ব্যাপারে বাগদার বিজেপি প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস অভিযোগ করেন, বাগদা এলাকার মানুষ বিজেপিকে ঢেলে ভোট দিচ্ছিলেন। এটা রাজ্য পুলিশ মেনে নিতে পারছিল না। রাজ্য পুলিশ অলিখিতভাবে দায়িত্ব নিয়েছিল এখানে তৃণমূল প্রার্থীকে জেতানোর। আর সেই চেষ্টা ব্যর্থ করতে গিয়েই গ্রামবাসীদের বাধার সম্মুখীন হয় পুলিশ। আর তাতেই পুলিশ নিরীহ গ্রামবাসীদের উপর গুলি চালায়।


এদিকে, এদিন সকালে বনগাঁর ভিড়া গ্রামে বিএসএফ এলাকার এক পঞ্চায়েত সদস্য সহ ৪ জন গ্রামবাসীর উপরে অকারণে লাঠি চালায় তাতে তারা জখম হন বলে অভিযোগ করেছেন বনগাঁর তৃণমূল প্রার্থী শ্যামল রায়। তাঁর আরও অভিযোগ বিএসএফ ওই এলাকায় গ্রামবাসীদের বিজেপির পক্ষের করানোর চেষ্টা করছিল।

এদিন হাবড়ার তৃণমূল প্রার্থী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক অভিযোগ করেছেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী ভোটারদের বিজেপির পক্ষে ভোট করানোর জন্য মারধর এবং ভয় দেখাচ্ছে। এ ব্যাপারে তিনি কেন্দ্রীয় বাহিনীর অফিসারদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তাদের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। বিষয়টি তিনি নির্বাচন কমিশনের নজরে আনেন।

অশোকনগর বিধানসভা কেন্দ্রে এদিন ব্যাপক বোমাবাজির ঘটনা ঘটে। তবে তাতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। পাশাপাশি এলাকার তৃণমূল প্রার্থী নারায়ন গোস্বামী অভিযোগ করেছেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে তাদের দুজন সমর্থক জখম হয়েছেন। যদিও নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে গুলি চালানোর কোনো ঘটনা ঘটেনি।

উত্তর দিনাজপুর, নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগনা এবং পূর্ব বর্ধমান- এই ৪ জেলার মোট ৪৩ আসনে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, সন্ধে সাড়ে ৬টা পর্যন্ত রাজ্যে মোট ভোট পড়েছে ৭৯.০৮ শতাংশ। এর মধ্যে উত্তর দিনাজপুরের ৯টি আসনে ভোট পড়েছে ৭৭.৯০ শতাংশ, নদিয়ার ৯টি আসনে ভোট পড়েছে ৮২.৭০ শতাংশ, উত্তর ২৪ পরগনার ১৭টি আসনে ভোট পড়েছে ৭৬.১৯ শতাংশ এবং পূর্ব বর্ধমানের ৮টি আসনে ৮২.১৩ শতাংশ।


LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here