দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ রবিবার খড়গপুরে বিজেপি প্রার্থী হিরণের সমর্থনে রোড-শো করেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এদিন অমিত শাহের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন কৈলাশ বিজয়বর্গীয়, দিলীপ ঘোষও। এই রোড শো থেকে ‘এবার বিজেপি’ স্লোগান তোলা হয়েছে। সেখানে তিনি সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, ‘মোদীর নেতৃত্বে ২০০-র বেশি আসন নিয়ে বাংলায় সরকার গড়া হবে। বাংলার মানুষ পরিবর্তন চাইছেন।’ মিশ্র ভাষাভাষির খড়গপুরে এদিন প্রচারে রীতিমতো ঝড় তুললেন অমিত শাহ। শহরে অমিত শাহের রোড শো-তে ভালো রকমের ভিড় হয়েছিল। পরে সাংগঠনিক আলোচনাও সারেন তিনি।

গত লোকসভা নির্বাচনে খড়্গপুর শহরে ৫০ হাজার লিড পেয়েছিল পদ্ম-শিবির। তবে বিধানসভা উপ-নির্বাচনে সেখানে ঘুরে দাঁড়ায় তৃণমূল। প্রদীপ সরকার জয়ী হন ২১ হাজার ভোটে। এবারও দাঁড়িয়েছেন প্রদীপবাবু। গত লোকসভা নির্বাচনে সরে গিয়েছিলেন হিন্দিভাষী ভোটাররা। মিশ্র ভাষাভাষির শহর খড়গপুর। ২০১৯ সালের বিধানসভা উপ-নির্বাচনের ফল ধরে রেখে আরও এগিয়ে যেতে রণকৌশল সাজাচ্ছে তৃণমূল। কারণ, লড়াই সহজ নয়। এদিন হিরণ বলেন, ‘অমিত শাহের রোড শো-তে মানুষ যে উন্মাদনা দেখিয়েছে, তাতে আমি অভিভূত। তৃণমূলের নেতারা টাকা লুঠ করেছে। তারই জন্য মানুষ স্বতফূর্তভাবে এদিন বাইরে বেরিয়ে এসেছে।’

দিলীপের খাসতালুকে এবার তারকা প্রার্থী করা হয়েছে। সদ্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দেওয়া অভিনেতা হিরণ্ময় চট্টোপাধ্যায় ওরফে হিরণকে খড়গপুর সদর থেকে প্রার্থী করল বিজেপি। দিলীপ ছাড়া আরও কয়েকজন বিজেপি-নেতার নামও শোনা যাচ্ছিল এই কেন্দ্রের প্রার্থী হিসাবে। তবে সব জল্পনার অবসান করে তারকা প্রার্থী করা হল খড়গপুর সদরে। ভোটের প্রচারে সব দলের পক্ষ থেকেই টলিউড, বলিউডের কলাকুশলীদের খড়গপুরে আনা হয়। এক ধাপ এগিয়ে বিজেপি এই কেন্দ্রে তারকা প্রার্থীই দিল। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, বিধানসভা উপ-নির্বাচনে ওই কেন্দ্রে ঘুরে দাঁড়ানো তৃণমূলকে চাপ দিতেই এই কৌশল। হিরণের সম্মুখ সমরে খড়গপুরের তৃণমূল প্রার্থী ‘ঘরের ছেলে’ প্রদীপ সরকার।

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের উপস্থিতিতে পদ্ম পতাকা হাতে তুলে নেন হিরণ। তৃণমূলের যুব সহ সভাপতি পদে ছিলেন এই টলি তারকা। যোগদানের পর হিরণ বলেছিলন,’সাধারণ মানুষ যা চাইছেন, সেটাও তো ভাবতে হবে। প্রধানমন্ত্রী মোদীর যে কর্মযজ্ঞ শুরু হয়েছে, তাতে বিপুলভাবে সমর্থন করছেন মানুষ। রাজনীতির বড় অংশ হল মানুষ। মানুষ বিশ্বাস করছে, মোদীজির নেতৃত্বে বাংলায় উন্নয়ন হবে। বাংলায় পরিবর্তন হবে এই আশাতেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলাম। দেখলাম, পরিবর্তন হল কয়েকজন বিশিষ্টদের, তাঁদের জীবনযাত্রায়। বাংলায় পরিবর্তন বলতে শুধু নীল-সাদা রং দেখলাম।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here