দেশের সময়,পেট্রাপোল: আগামীকাল বৃহস্পতিবার রাজ্যে ষষ্ঠ দফা নির্বাচন। এই পর্যায়ে বনগাঁ মহকুমার চারটি বিধানসভা কেন্দ্র রয়েছে। এই চার কেন্দ্রের মধ্যে তিনটি কেন্দ্র বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া অনেক অংশ রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই ভোটের কারণে তার প্রভাব পড়েছে সীমান্ত এলাকায়।

করোনা পরিস্থিতির কারণে ইতিমধ্যেই বাংলাদেশৈ লকডাউন শুরু হয়েছে। সেই লকডাউনের মেয়াদ ১০ দিনের বেশি পার হয়ে গেছে। লকডাউন এর কারণে সেই দেশে সাধারণ যাত্রী পরিবহন ব্যবস্থা বন্ধ। এর ফলে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে যাত্রী পরিবহন একেবারেই নেই বললেই চলে। খুব প্রয়োজন ছাড়া কেউ ভারতে আসছেন না বা ভারতের দিক থেকে বাংলাদেশ যাচ্ছেন না।

অভিবাসন দপ্তর সূত্রে জানা গেল, বাংলাদেশ থেকে যারা ভারতে আসছেন তাদের মধ্যে চিকিৎসার প্রয়োজনে জরুরি ভিত্তিতে মূলত আসছেন তারা। ব্যক্তিগতভাবে যানবাহনের ব্যবস্থা করে তারা সীমান্তে এসে পৌঁছাচ্ছেন। এর পাশাপাশি বাংলাদেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন এমন ভারতীয়দেরও বাংলাদেশ থেকে ভারতে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। ভারতের দিক থেকেও বাংলাদেশে ফিরে যাচ্ছেন শুধুমাত্র বাংলাদেশীরাই।

এরইমধ্যে বৃহস্পতিবার রাজ্য বিধানসভার ষষ্ঠ দফার নির্বাচন। আর এই নির্বাচনে পেট্রাপোল সীমান্ত অঞ্চল পড়েছে। যার ফলে আজ থেকেই তার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। এদিন দুপুরে পেট্রাপোল সীমান্তে গিয়ে দেখা গেল সীমান্ত প্রায় শুনশান বেশ কিছু সময় পর পর দুই একজন করে যাত্রী অভিবাসন দপ্তর থেকে বেরিয়ে আসছেন। সীমান্তে নজরদারিও যথেষ্ট কড়া। কোনভাবেই যাতে সীমান্ত পেরিয়ে অবৈধভাবে কেউ ভারতে প্রবেশ করতে না পারে সেদিকে নজরদারি শুরু করেছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী।

যদিও পণ্য পরিবহনের কাজ চলছে মোটামুটি স্বাভাবিক গতিতে। তবে ভোটের কারণে বৃহস্পতিবার পণ্য রপ্তানির কাজ বন্ধ থাকবে বলে জানাগিয়েছে৷শুক্রবার বাংলাদেশে ছুটি থাকায় স্বাভাবিক কারণে সেদিনও বন্ধ থাকবে পণ্য রপ্তানির কাজ। এমনই জানালেন পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী। তিনি বলেন, একদিকে বাংলাদেশের লকডাউন অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গে ভোটের কারণে পেট্রাপোল সীমান্ত আপাতত শুনশান।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here