দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ সাতের দশকে নকশাল বাড়ি আন্দোলনের স্লোগান ছিল গ্রাম দিয়ে শহর ঘেরো। বিষ্যুদবারের বার বেলায় কতকটা সেই কায়দাতেই মিছিল দিয়ে নবান্ন ঘেরার পরিকল্পনা নিয়েছে বিজেপির যুব মোর্চা। সেই কর্মসূচির নেতৃত্ব দিতে বুধবার রাতে দিল্লি থেকে কলকাতায় পৌঁছে গিয়েছেন ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার সদ্য দায়িত্ব পাওয়া সর্বভারতীয় সভাপতি তথা বেঙ্গালুরুর সাংসদ তেজস্বী সূর্য।

বুধবার বিকেলেই জানা গিয়েছিল, স্যানিটাইজ করা হবে বলে বৃহস্পতি ও শুক্রবার নবান্ন বন্ধ থাকবে। যদিও বিজেপির তরফে বলা হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভয়ে পালিয়ে গেলেন। তবে কর্মসূচি যে বাতিল হচ্ছে না স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ, সায়ন্তন বসু, সৌমিত্র খাঁয়েরা।

বিজেপি সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোট চারটি মিছিল হবে হাওড়া ও কলকাতার চারটি পয়েন্ট থেকে। বিজেপি রাজ্য দফতর থেকে শুরু হবে একটি মিছিল। তা সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, এমজি রোড হয়ে হাওড়া ব্রিজ পেরিয়ে নবান্নের দিকে যাবে। এই মিছিলে নেতৃত্বে দেবেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। অন্য মিছিলগুলি শুরু হবে হেস্টিংস বিজেপি অফিস, হাওড়া ময়দান এবং সাঁতরাগাছি থেকে। হাওড়া ময়দানের মিছিলে থাকবেন তেজস্বী সূর্য।

সন্দেহ নেই আজ কলকাতায় হইহই কাণ্ড হতে চলেছে। বলাইবাহুল্য পুলিশ বিজেপির মিছিলকে নবান্নর ধারে কাছে যেতে দেবে না। পাল্টা বিজেপিও তাদের শক্তি দেখাবে। পর্যবেক্ষদের মতে, পুজোর আগেই একুশের ওয়ার্ম সেরে রাখছে বিজেপি যাতে দিওয়ালি মিটলেই তেড়েফুঁড়ে নেমে পড়া যায়।

অন্যদিকে আজ দক্ষিণ কলকাতায় দলিত হত্যা নিয়ে মিছিল ডেকেছে তৃণমূল। দলিত হত্যার প্রতিবাদে রাস্তায় নামবে শাসকদল। পাল্টা বিজেপির ইস্যু এসএসসি, টেটে দুর্নীতি, খুন-সন্ত্রাস, সিন্ডিকেট রাজ, তোলাবাজি ইত্যাদি প্রভৃতি। ফলে অফিস কাছারিতে বেরোনো মানুষকে বিস্তর দুর্ভোগে পড়তে হবে বলেই আশঙ্কা করছেন অনেকে।

জানা গিয়েছে, বিজেপির মিছিল ঠেকাতে প্রস্তুত কলকাতা ও হাওড়ার পুলিশও। একাধিক জায়গায় ব্যারিকেড করা হচ্ছে। প্রস্তুত রাখা হচ্ছে জল কামান, টিয়ার গ্যাসের সেল। বামেদের নবান্ন অভিযানের সময়ে চোরাগোপ্তা গলি দিয়ে একেবারে নবান্নের সদর দরজায় পৌঁছে গিয়েছিলেন সুজন চক্রবর্তীরা। বিজেপির ক্ষেত্রে যাতে তা না হয় সে ব্যাপারে সতর্ক পুলিশ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here