দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ কুড়ি সালের এপ্রিল মাস যেন ফিরে এল! একই দিনে দুপুর ৩:১০ মিনিট থেকে রাত ৮:৪০ মিনিটের মধ্যে বনগাঁ হাসপাতালে করোনায় আক্রন্ত ৩ জন রোগীর মৃত্যু হল ।হাসপাতাল সূত্রের খবর ,শনিবার কৌশলা সর্দার, বর্ণবেরিয়া, মমতা রায় বাগান গ্রাম এবং সবিতা বারুই বনগাঁ মহকুমার তিন জন বাসিন্দার-ই করোনা সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে৷ স্থানীয় তৃণমূল নেতা গোপাল শেঠ দেশের সময় কে জানিয়েছেন, এই তিন জন রোগী করোনা সংক্রমণ নিয়ে বনগাঁ হাসপাতালে চিকিৎসাধিন ছিল শনিবার তাঁদের কে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন৷ বনগাঁর মানুষকে সচেতন হওয়ার জন্য আহ্বান জানান তিনি৷

হু হু করে বাড়ছে সংক্রমণ। এই পরিস্থিতিতে বাংলায় প্রকাশ্য স্থানে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করল রাজ্য সরকার। এই মর্মে নির্দেশিকা জারি করেছে নবান্ন। জেলা প্রশাসনকে এই নির্দেশিকা পাঠিয়ে বলা হয়েছে, নিয়মভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে মহামারী মোকাবিলা আইন মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে।

কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ দানবীয় আকার নিলেও অনেকেই যেন ভাবলেশহীন। ট্রেনে, বাসে, প্রকাশ্য স্থানে মাস্ক ছাড়াই ঘুরে বেড়াচ্ছেন। সর্বত্র নাগরিক সচেতনতা গড়ে না ওঠায় এই সিদ্ধান্ত বলেই মনে করা হচ্ছে।

কোভিডের প্রথম পর্বেও এ হেন সার্কুলার দেখা গিয়েছিল। কিন্তু নিউ নর্মাল এবং পরবর্তী সংক্রমণ রেখচিত্র  নিম্নমুখী হওয়ায় মাস্কের বিধিও শিথিল হয়েছিল।কিন্ত ফের সেই রাস্তাতেই হাঁটল রাজ্য সরকার।

বনগাঁ পুরসভার পক্ষ থেকে এদিন মাইক প্রচারের মাধ্যমে সাধারন মানুষকে মাস্ক পড়তে আনুরোধ করা হয়৷

নতুন করে করোনার দাপাদাপি শুরু হতেই মাস্ক নিয়ে শুরু হয়েছে কালোবাজারি

অন‍্যদিকে ,করোনার দ্বিতীয় ঢেউ নাজেহাল গোটা দেশ। চিকিৎসকেরা বলছেন, মাস্কই একমাত্র ভরসা। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে মাস্ক নিয়ে শুরু হয়েছে কালোবাজারি।
এক বছর আগে করোনার যখন প্রথম ঢেউ ভারতে আছড়ে পড়েছিল, তখন নতুন এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে মোকাবেলা করতে তৎপর হয়েছিল সব পক্ষই। চিকিৎসকেরা তখন বারবার বলেছিলেন, এই ভাইরাস এর সংক্রমণ আটকাতে প্রত্যেককে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। সঙ্গে বারেবারে হাত ধোয়া এবং স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে।

চিকিৎসকদের মতে, করোনা ভাইরাস সাধারণত ছড়ায় ড্রপলেট এর মাধ্যমে। আর তাই মাস্ক ব্যবহার প্রত্যেকের জন্য অত্যন্ত জরুরী। তবে বাজারে বিভিন্ন রকম মাস্ক পাওয়া যায়। তার মধ্যে কোনটা কত বেশি কার্যকরী সে ব্যাপারেও নানান রকম ব্যাখ্যা আছে। গত বছর এই নতুন রোগের প্রাদুর্ভাব শুরু হতেই বাজারে নানা রকম মাস্ক এবং স্যানিটাইজার বিক্রির পরিমাণ যথেষ্ট বেড়ে যায়। তারপর একটা সময় এই রোগের উপদ্রব কিছুটা কমতে থাকায় মাস্ক এবং স্যানিটাইজারের বিক্রিও কমতে থাকে।

এবছর ফের শুরু হয়েছে করোনার দাপাদাপি। দিন দিন তা মারাত্মক আকার ধারণ করছে। আর তাই ফের চাহিদা বাড়ছে মাস্ক এবং স্যানিটাইজার এর। চিকিৎসকেরা বলছেন, একটি মাস্ক নয়, দুটি মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। তার মধ্যে অবশ্যই একটি সার্জিক্যাল মাস্ক হতে হবে। এই পরিস্থিতিতে সার্জিক্যাল মাস্ক এর চাহিদা বেড়েছে কয়েকগুণ।

আর এই সুযোগকে কাজে লাগাচ্ছে একশ্রেণীর ব্যবসায়ীরা। শুরু হয়েছে কালোবাজারি। বনগাঁর মত বিভিন্ন এলাকাতেই এখন ভালো সার্জিক্যাল মাস্ক অমিল। যদিও বা হাতে গোনা দুই একজন দোকানদারের কাছে পাওয়া যাচ্ছে, তাতে দাম আগের থেকে অন্তত তিন থেকে চার গুণ বেশি। কেন এমন পরিস্থিতি ? এই প্রশ্নের উত্তরে ব্যবসায়ীরা জানালেন, কলকাতায় মাস্কের হোলসেলার এর কাছে অর্ডার দিলেও মাল পাওয়া যাচ্ছে না। যদিও বা পাওয়া যাচ্ছে, তা তিন থেকে চার গুণ দাম চড়িয়ে বলা হচ্ছে।

ফলে আমাদের হাত-পা বাঁধা। এত দাম বেড়ে যাওয়ার ফলে অনেক ব্যবসায়ী মাস্ক বিক্রির জন্য তুলতে পারছেন না‌ এই পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ী এবং সাধারণ মানুষের দাবি, অবিলম্বে এ ব্যাপারে প্রশাসন হস্তক্ষেপ করুক। মাস্কের কালোবাজারি বন্ধ হোক।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here