দেশের সময়, ঠাকুরনগর: রবিবার ঠাকুর বাড়িতে বসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি যেভাবে নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেন, তাতে তেমনই ইঙ্গিত মিললো।


মতুয়া সম্প্রদায়ের মন পেতে একসময় ঠাকুরবাড়ির সদস্য মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুর কে প্রার্থী করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী। জয়লাভের পর তাঁকে মন্ত্রিত্বও দেওয়া হয়। এরপর তাঁর বড় ভাই কপিলকৃষ্ণ ঠাকুরকে বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী করে তৃণমূল। আর তখনই বেঁকে বসে মঞ্জুল। মন্ত্রিত্ব ছেড়ে, দল ছেড়ে নিজের বড় ছেলে সুব্রত ঠাকুরকে দাদার বিরুদ্ধে বিজেপির প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করান। আর তখন থেকেই এই দুই পরিবারে বিভাজন শুরু হয়। কপিলকৃষ্ণ জয়ী হওয়ার এক বছরের মধ্যেই তাঁর মৃত্যু হওয়ায় এই আসনের উপনির্বাচনে তৃণমূল নেত্রী মমতা বালা ঠাকুরকে প্রার্থী করেন। তিনিও জয়ী হন। এরপর থেকে এই দুই পরিবারের মধ্যে বিভাজন আরও বাড়তে থাকে।

দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে যান মতুয়ারাও। শেষ লোকসভা নির্বাচনে মমতা বালা ঠাকুর পরাজিত হন ঠাকুর পরিবারের সদস্য মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুরের ছোট ছেলে বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর এর কাছে। এরই মধ্যে ফের চলে এল বিধানসভা নির্বাচন। ফের প্রার্থী বাছাইয়ের পালা।
এই প্রার্থী বাছাই নিয়েই এখন দলের সঙ্গে যে মমতা ঠাকুরের মতবিরোধ তৈরি হয়েছে, এদিন তা বুঝিয়ে দিলেন প্রাক্তন সাংসদ তথা সারা ভারত মতুয়া মহাসঙ্ঘের সংঘাধিপতি মমতাবালা ঠাকুর।


এদিন মমতা ঠাকুর বলেন, ‘মতুয়া মহা সঙ্ঘের কাজের সঙ্গে যুক্ত এমন মানুষদের মধ্যে থেকে কয়েক জনকে কয়েকটি আসনে প্রার্থী করার জন্য দলের কাছে অনুরোধ করেছিলাম। কিন্তু দল সে কথা রাখেনি। এটা মতুয়াদের কাছে অসম্মানের। তাই আমি নিজেও প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছি।’ তিনিও যে কিছুটা বেসুরো, এদিন তাঁর কথাতেই তা পরিষ্কার বোঝা গেল।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here