দেশের সময়: বনগাঁ শহর তৃণমূলের সভাপতি, বিদ্রোহী তৃণমূল নেতা শংকর আঢ্য দলবদল করে বিজেপিতে যোগদান করছেন ? গত ২৪ ঘন্টা ধরে এই জল্পনাকে কেন্দ্র করেই সরগরম বনগাঁর রাজনীতি। শুধু রাজনৈতিক গণ্ডি নয়, তাঁকে নিয়ে এখন আলোচনা চলছে সর্বস্তরেই। যদিও এ ব্যাপারে এখনো কোন সত্যতার সঠিক প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের পাশাপাশি বনগাঁতেও দলের মধ্যে ক্ষোভ শুরু হয়। বনগাঁ শহর তৃনমূলের সভাপতি তথা বনগাঁ পৌরসভার প্রশাসক শঙ্কর আঢ্যর অনুগামীদের স্থির বিশ্বাস ছিল যে, বনগাঁ উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের জন্য প্রার্থী হিসেবে শঙ্কর আঢ্য মনোনীত হবেন। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল সেখানে প্রার্থী করা হয়েছে শ্যামল রায়কে। আর এরপরই শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। এমন কি তৃণমূলের প্রার্থীর প্রচারেও তাঁকে সে ভাবে দেখা যাচ্ছেনা বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করছেন দলের একাটা বড় অংশের নেতা কর্মীরা৷ তাঁদের আরও অভিযোগ বনগাঁ শহরে এখনও পর্যন্ত প্রার্থীর প্রচারও শুরু করা যাচ্ছেনা এই ঘটনার জেরে৷

‘দাদার অনুগামীরা’ ‘দাদাকে’ প্রার্থী হিসেবে দেখতে চেয়ে মিছিল, বিক্ষোভ, আগুন জ্বালিয়ে বনগাঁ শহরে রাস্তা অবরোধ শুরু করেন। একই দাবিতে এর দুদিন বাদে মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের একাংশের পক্ষ থেকেও একই ধরনের বিক্ষোভ, মিছিল অবরোধ হয় শহরে। আর এই ঘটনার পর থেকেই বনগাঁবাসীদের মধ্যে প্রশ্ন উঁকি দিতে শুরু করে, তাহলে কি তিনি নিজের দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করছেন ?

ইতিমধ্যেই বিজেপির বড় মাপের নেতাদের সঙ্গে তোলা তাঁর ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরতে থাকায়, সেই জল্পনা আরও উসকে দিয়েছে। এর পাশাপাশি তাঁর ঘনিষ্ঠ সূত্রে কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে যে, তিনি ইতিমধ্যেই দিল্লিতে গিয়েছেন শঙ্কর বাবু। বিজেপিতে যোগদানের সম্ভাবনা রয়েছে।

শুক্রবার বিকেল থেকেই বনগাঁ জুড়ে খবর ছড়িয়ে পড়ে যে তিনি ইতিমধ্যেই দিল্লি পৌঁছে গেছেন। সেখানে বিজেপিতে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান করবেন। যদিও এর বাস্তব সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। ‘দেশের সময়’ এর পক্ষ থেকে তাঁর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও কোনভাবেই তাঁর প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের কাছেও এ ব্যাপারে সঠিক কোনো খবর নেই বলে জানা গেছে। রাজনৈতিক মহলের পাশাপাশি সাধারণ মানুষ প্রত্যেকের এখন জিজ্ঞাস্য, তাহলে কি ‘যা রটে, তার কিছুটা কি বটে?’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here