দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ আবারও করোনার বলি হলেন কলকাতা পুলিশের সদস্য। এবার মারণ ভাইরাস প্রাণ কাড়ল হরিদেবপুর থানার অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইনস্পেক্টর পদে কর্মরত অফিসার তুষার কান্তি কুলের। একেবারে সামনের সারিতে থেকে তিনি লড়ছিলেন করোনা-যুদ্ধে। সম্প্রতি কোভিডে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হন হাসপাতালে। আজ, বৃহস্পতিবার মারা গেলেন তিনি।

বিজ্ঞাপনঃ

জুন মাসের সাত তারিখে, কলকাতা পুলিশে প্রথম মৃত্যুর খবর এসেছিল কোভিডে। শেক্সপিয়র সরণি থানার এক কনস্টেবল মারা গেছিলেন সংক্রমণে। ওই কনস্টেবলের বয়স ছিল ৪৭ বছর, ডিসি সাউথের অফিসে পোস্টিং থাকলেও ওই পুলিশকর্মী শেক্সপিয়র সরণি থানায় কনস্টেবল ছিলেন। এর পরেই  শিয়ালদহ ট্রাফিক গার্ডের আরও এক কর্মী মারা যান। মৃত দিলীপ সর্দারের বয়স ছিল ৪৫। ১২ জুলাই করোনায় মৃত্যু হয় কলকাতা পুলিশের ইস্ট ট্রাফিক গার্ডের সিভিক ভলান্টিয়ার সুব্রত দাসের।

বিজ্ঞাপনঃ

জুলাই মাসের মাঝামাঝি কলকাতা পুলিশে বড় ধাক্কা দিয়েছিল নভেল করোনাভাইরাস। এক দিনে ৩০ জন কলকাতা পুলিশের কর্মী কোভিড আক্রান্ত হন, যাঁদের অধিকাংশই লালবাজার ট্র্যাফিক বিল্ডিংয়ের কর্মী। এর পর আর পুলিশের মধ্যে কোভিড সংক্রমণ বিক্ষিপ্ত ঘটনা থাকেনি। কার্যত রুটিনে পরিণত হয় এটি করোনা যুদ্ধে যাঁরা সামনে দাঁড়িয়ে লড়াই করছেন তাঁদের মধ্যে পুলিশকর্মীরা অন্যতম। এক দিকে লকডাউন কার্যকর করা ও অন্য দিকে সংক্রমণ রুখতে নানাবিধ বন্দোবস্ত মাঠে ময়দানে নেমে কার্যকর করছেন তাঁরা। ফলে সংক্রমণের ঘটনা ঘটছে৷

বিজ্ঞাপনঃ

জুলাই মাসের ২৪ ও ২৫ তারিখে ফের মারা যান পরপর দুই পুলিশকর্মী। কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের ইকুইপমেন্ট সেলের অফিসার ইন-চার্জ অভিজ্ঞান মুখোপাধ্যায় এবং হেস্টিংস থানার পুলিশকর্মী কৃষ্ণকান্ত বর্মন। ফের ২৮ জুলাই মারা যান চারু মার্কেট থানার কনস্টেবল দেবেন্দ্রনাথ তিরকে। ৩১ জুলাই করোনায় মৃত্যু হয় চিৎপুর থানার অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর তপন চন্দ্র কুমারের।

বিজ্ঞাপনঃ

তার পরে ২ অগস্ট করোনায় মৃত্যু হয় জোড়াবাগান ট্রাফিক গার্ডের কনস্টেবল দীপঙ্কর সরকারের। এর পরে অগস্ট মাসের ২১ তারিখে করোনা যুদ্ধে হার মানেন কলকাতা পুলিশের এসিপি উদয় শঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়।

ইতিমধ্যেই কলকাতা পুলিশের প্রায় ২০০০ জন সংক্রামিত হয়েছেন। সুরক্ষার স্বার্থে লালবাজারের ভিতরে তৈরি হয়েছে পৃথক আইসোলেশন সেল। কিন্তু তাতেও কোনও ভাবেই এড়ানো যাচ্ছে না করোনার সংক্রমণ।একদম সামনের সারিতে থেকে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করে যোদ্ধাদের এমন মর্মান্তিক পরিণতিতে চিন্তায় রয়েছে প্রশাসনও।

বিজ্ঞাপনঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here