দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ রাত পোহালেই সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। বাংলায় প্রত্যাবর্তন না পরিবর্তন? এই লাখ টাকার প্রশ্নের উত্তর মিলবে রবিবার। একুশের মহাসংগ্রামের ফল ঘোষণা ঘিরে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। এই প্রেক্ষাপটে নতুন করে চর্চায় মিঠুন চক্রবর্তী। ভোটগণনার আগের দিন রাজভবনে গেলেন সুপারস্টার। রাজভবনের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মিঠুন। ফল ঘোষণার আগে রাজ্যপালের সঙ্গে মিঠুনের এ হেন সাক্ষাৎ ঘিরে নয়া জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

সূত্রের খবর, মিঠুনকে ডেকে পাঠান রাজ্যপাল। এটা নিছকই সৌজন্য সাক্ষাৎ বলে দাবি করা হচ্ছে রাজভবনের তরফে। তবুও পর্দার ফাটাকেষ্টকে ঘিরে জল্পনা থামছে না।

বৃহস্পতিবার ভোট দেওয়ার পর মিঠুন বলেছিলেন, ‘ভালোভাবে ভোট দিন। এটাই আমাদের গণতন্ত্র। এত সুন্দর, শান্তিপূর্ণ ভোট আগে দেখিনি। খুব খুশি।’ এবারের ভোটপ্রচারে মিঠুনকে ঘিরে উন্মাদনা ছিল চোখে পড়ার মতো। ভোটের দিনও হাতের নাগালে সুপারস্টারকে ঘিরে উচ্ছ্বাস দেখা যায় সাধারণ মানুষের মধ্যে। বাংলায় বিজেপি ক্ষমতায় এলে মিঠুন কি মুখ্যমন্ত্রী হবেন? এ নিয়ে তুমুল জল্পনা চলছে বঙ্গ রাজনীতিতে। এই প্রেক্ষিতে ফল ঘোষণার আগে মিঠুনের সঙ্গে রাজ্যপালের সাক্ষাৎ এই জল্পনায় জল-হাওয়া যোগ করল বলেই মনে করছে পর্যবেক্ষক মহলের একাংশ।

উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ব্রিগেড মঞ্চে পদ্ম পতাকা হাতে তোলেন মিঠুন চক্রবর্তী। তারপর থেকেই জল্পনা ছড়ায় যে, বাংলায় বিজেপির ২৬-র মুখ হতে পারেন মিঠুন। এই জল্পনার আবহে কাশীপুর-বেলগাছিয়া কেন্দ্রে বোনের বাড়ির ঠিকানায় ভোটার হিসেবে নাম তোলেন মিঠুন। যার জেরে জল্পনা আরও জল-হাওয়া পায়। কিন্তু, বিজেপি-র প্রার্থী তালিকায় মিঠুনের নাম না থাকায়, সেই জল্পনায় ইতি পড়ে। বিজেপি-তে যোগদানের পর থেকেই একের পর এক রোড শো-তে ঝড় তুলেছেন মিঠুন।

ব্রিগেড মঞ্চে বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার পর পর্দার ‘মিনিস্টার ফাটাকেষ্ট’ বলেছিলেন, ‘আজ আমার কাছে স্বপ্নের মতো। জোড়াবাগানে যেখানে থাকতাম,সেটা একটা অন্ধকার গলি ছিল। সেখানে সেদিন একটা স্বপ্ন দেখেছিলাম, জীবনে কিছু একটা করব। কিন্তু, এই স্বপ্ন দেখিনি যে বিশ্বের সবথেকে বড় গণতন্ত্রের বড় নেতা মোদীজি এই মঞ্চে আসবেন, আর আমি সেখানে থাকব। এটা স্বপ্ন নয় তো কী! অন্ধকার লেনে জন্মানো একটা ছেলে এখানে এসেছে।

আরপকটা স্বপ্ন দেখেছিলাম, তখন বয়স ১৮।গরিবদের জন্য কিছু করব। আজ মনে হচ্ছে, সেই স্বপ্নটা দেখতে পাচ্ছি। এটা হবেই। স্বপ্ন শুধু তো দেখার জন্য নয়, সফল হওয়ার জন্য। স্বপ্ন সফল করার উদাহরণ আমি। আমি গর্বিত বাঙালি। দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন, রানি রাসমণি, বিদ্যাসাগর এঁরাই বাঙালি। বাংলায় বসবাসকারী সকলেই বাঙালি।’ এরপরই মিঠুন বলেন, ‘আপনাদের অধিকার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করবেন যাঁরা, আমাদের মতো অনেকে তাঁরা সামনে এসে দাঁড়াবেন।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here