দেশের সময়ওয়েবডেস্কঃ আলোর উৎসবের রাতেই ইন্দ্রপতন চিকিত্‍সকদের সমস্ত চেষ্টা ব্যর্থ করে প্রয়াত হলেন রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার কালীপুজোর সন্ধ্যায় এসএসকেএম হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সুব্রতবাবু। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।

১৯৮৪ সালে যাদবপুরে সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তাঁর নাম প্রণব মুখোপাধ্যায়ের কাছে বলেছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায় । সেই সুব্রতবাবুর প্রয়াণে ভেঙে পড়লেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । দীপাবলির দিনে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণের খবর শুনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, ‘‘এমন আলোর দিনে অন্ধকার নেমে আসবে ভাবতেও পারিনি , সুব্রতদার মরদেহ দেখতে পারব না। ।’’

রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘ সুব্রতদার মৃত্যুতে আমরা সকলেই মর্মাহত।’’ 

পুজোর পর থেকেই অসুস্থ ছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। ২৪ অক্টোবর কিছু শারীরিক পরীক্ষার জন্য তিনি এসএসকেএম হাসপাতালে যান। ডাক্তারবাবুরা সেদিনই তাঁকে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেন। সেদিন থেকেই উডবার্ন ওয়ার্ডে চিকিত্‍সা চলছিল বর্ষীয়ান এই নেতার।

সুব্রতবাবুর সিওপিডির সমস্যা অনেক দিনের। পুজোর মধ্যে সেটাই আরও কিছুটা গুরুতর হয়ে ওঠে। ভর্তি হওয়ার কয়েকদিন পর সুব্রতবাবুকে বাইপ্যাপ সাপোর্ট দিতে হচ্ছিল। এদিন বিকেল থেকেই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। শেষ পর্যন্ত জীবনযুদ্ধে হার মানলেন।

সুব্রতবাবুর সঙ্কটজনক অবস্থার খবর পেয়ে বাড়ির কালীপুজো ফেলে এসএসকেএমমে যান মুখ্যমন্ত্রী। রাত নটা ২২ মিনিট নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। সেখান থেকে বেরিয়ে তৃণমূলনেত্রী বলেছিলেন কিছু বলার মানসিক অবস্থায় নেই। তারপর ডাক্তারবাবুরা মৃত্যুর খবর জানালে মমতা বলেন “আলোর দিনে এত বড় অন্ধকার! আগামীকালই ছুটি হওয়ার কথা ছিল সুব্রতদার, কী হয়ে গেল!”

জানা গিয়েছে, বর্ষীয়ান নেতার মরদেহ এদিন রাখা থাকবে এসএসকেএম -এর কার্ডিওলজি বিভাগে। শুক্রবার সকালে সেখান থেকে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে পিস ওয়ার্ল্ডে। সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হবে রবীন্দ্র সদনে। সেখানেই শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন সকলে। তারপর মরদেহ যাবে বাড়িতে। এরপর তাঁর দেহ থাকবে নিজের প্রিয় ক্লাব একডালিয়া এভারগ্রিনে। তার পরেই সম্পন্ন হবে শেষকৃত্য।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here