দেশের সময়ওয়েবডেস্কঃ রাজ্য জুড়ে প্রায় ১৬ লাখ আবেদন জমা পড়েছে ‘দুয়ারে সরকার’ ক্যাম্পে। সূত্রের খবর, তার মধ্যে ১০ লাখ ৩০৩টি আবেদন ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের জন্য জমা দেওয়া হয়েছে। নতুন প্রকল্পের এহেন সাফল্যে খুশি মুখ্যমন্ত্রী ও নবান্নের আমলারা।

সোমবার থেকে শুরু হয়েছে রাজ্য সরকারের ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্পের দ্বিতীয় দফার ক্যাম্প। রাজ্য জুড়ে প্রায় ১৭ হাজার ৫০০ ক্যাম্প চলছে। ‘দুয়ারে সরকারে’ প্রথমদিনেই সুপারহিট ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’।

‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচির প্রথম দিনেই উপচে পড়ল মানুষের ভিড়। সোমবার সকাল থেকে উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন জায়গায় শিবিরগুলিতে দীর্ঘ লাইন পড়ে যায়। করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করেই মানুষ লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন। অনেকেরই মাস্ক ছিল না। শারীরিক দূরত্ববিধি বজায় থাকতে দেখা যায়নি।

বনগাঁ, হাবড়া, অশোকনগর, বারাসতের শিবিরগুলিতেও ভিড় ছিল। শারীরিক দূরত্ব বিধি বজায় ছিল না। অনেকেরই মাস্ক ছিল না। অনেকর মাস্ক থুতনিতে নেমে এসেছিল। বনগাঁ শহরে শিবিরে আসা মানুষদের জন্য মাথায় ছাউনির ব্যবস্থা করা হয়েছিল। লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে আবেদন করতে আসা অশোকনগরের এক মহিলা বলেন, “অনটনের সংসারে কিছুটা হলেও সাহায্য হবে এই অর্থ পেলে। তাই সকাল থেকেই চলে এসেছি।” ভিড় এড়াতে হাবড়ার শিবিরে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল।

তবে প্রথমদিন রাজ্যের বাকি জেলার চেয়ে ‘দুয়ারে সরকারে’ আবেদনের দিক দিয়ে এগিয়ে রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা। এই জেলায় সব প্রকল্প মিলিয়ে প্রথমদিনেই আবেদন জমা পড়েছে ২ লাখ ৯৩ হাজার ৮৩৩ টি অর্থাৎ প্রায় তিন লাখ।

দক্ষিণ ২৪ পরগনাতেও ‘দুয়ারে সরকারে’ এক নম্বরে আছে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’। আবেদন জমা পড়েছে ১ লাখ ৭১ হাজার ৬৩৩ টি। দ্বিতীয় স্থানে স্বাস্থ্যসাথী। জমা পড়েছে ৪০ হাজার ২৮১ টি আবেদন। তৃতীয় স্থানে কাস্ট সার্টিফিকেট। জমা পড়েছে ২২ হাজার ৬৪৯ টি আবেদন। ও চতুর্থ স্থানে খাদ্যসাথী। এই স্কীমে প্রথম দিনই আবেদন জমা পড়েছে ১৭ হাজার ৪৭৯ টি। এছাড়াও ১০০ দিনের কাজ থেকে একাধিক প্রকল্পের সুবিধা পেতে আবেদন জমা পড়েছে এই জেলায়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here