দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃকরোনা মহামারীর মধ্যেই ভারতের বিরুদ্ধে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। শুক্রবার প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর কুপওয়ারা জেলায় আচমকা গোলাবর্ষণ শুরু করে পাকিস্তানি সেনা। ভারতীয় সেনা তখন সীমান্তের ওপারে একটি জঙ্গি ঘাঁটি, গোলাবারুদের ডিপোয় গোলা ছোঁড়ে। ভারতীয় সেনা ড্রোন মারফৎ গোলাবর্ষণের একটি ছবি তুলেছে। তাতে দেখা যায়, বফর্স কামান থেকে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে গোলাবর্ষণ করছে ভারতীয় সেনা।
সেনা সূত্রে খবর, এদিন কেরান ও তাঙ্গধের সেক্টরে এলোপাতাড়ি গোলাবর্ষণ করে পাকিস্তানের সেনা। ভারতীয় সেনা পালটা জবাব দেয়। কয়েক ঘণ্টা ধরে দু’পক্ষের গোলাবর্ষণ চলে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে অবস্থিত ছ’-সাতটি গ্রাম থেকে মানুষ পালিয়ে নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নেন।

এর আগে গত ১ এপ্রিল কুপওয়ারার কেরন সেক্টরের কাছে জঙ্গিদের গতিবিধি টের পায় সেনার নজরদারি দল। প্রবল তুষারপাতের কারণে তখন গোটা কুপওয়ারাই বরফে ঢেকে গেছে। সেই দুর্যোগের সুযোগ নিয়েই নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে ঢুকে পড়ে পাঁচ জঙ্গি। সেনা ছাউনি লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে । তবে জওয়ানদের পাল্টা জবাবের মুখে পড়ে দুর্গম উপত্যকার মধ্যেই গা ঢাকা দেয় তারা।

জঙ্গিদের খুঁজে বের করতেই প্যারাকম্যান্ডোদের খবর দেওয়া হয়। ২০১৬ সালের সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ইউনিটের পাঁচ জওয়ান সুবেদার সঞ্জীব কুমার, প্যারাট্রুপার বালকিষাণ, প্যারাট্রুপার ছত্রপাল সিং, হাবিলদার দেবেন্দ্র সিং ও প্যারাট্রুপার অমিত কুমার নামেন জঙ্গি-দমন অভিযানে। অপারেশনের নাম দেওয়া হয় ‘রান্দোরি বেহেক’ ।

সেনা সূত্রে খবর, পঞ্চম জন নিয়ন্ত্রণরেখার সেনা ব্যাটেলিয়নের কাছে চলে এসেছিল প্রথমে। সঙ্গে সঙ্গেই তাকে খতম করা হয়। বাকি চারজন লুকিয়ে পড়ে। জঙ্গিদের পায়ের ছাপ ধরে এগিয়ে যেতে যেতে এক খাদের কাছে চার জঙ্গির খোঁজ মেলে। শুরু হয়ে যায় গুলির লড়াই। চারজনকেই খতম করেন প্যারাকম্যান্ডোরা। তবে যুদ্ধ শেষে আর ফেরা আর হয়নি জওয়ানদের। জঙ্গিদের গুলিতে শহিদ হন চারজনেই। ৫ এপ্রিল সেনা জওয়ানদের দেহ বরফের উপর পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাঁদের হাত কয়েকের মধ্যেই পড়েছিল জঙ্গিদের দেহও।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here