দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ সোমবার দুপুরে তেখালির সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবাইকে চমকে দিয়ে ঘোষণা করেছিলেন, একুশের ভোটে তিনি প্রার্থী হবেন নন্দীগ্রামে। পারলে ভবানীপুরেও দাঁড়াবেন, কিন্তু নন্দীগ্রামে লড়বেনই।


তার পর খুব বেশি সমায় গড়ায়নি। কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে অনতিদূরে রাসবিহারী অ্যাভিনিউর মঞ্চে দাঁড়িয়ে সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করলেন শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে পাশে নিয়ে বললেন, “শুনে রাখুন মাননীয়া, আপনাকে যদি নন্দীগ্রামে হাফ লাখ ভোটে হারাতে না পারি রাজনীতি ছেড়ে দেব।”

এদিন সোমবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন নন্দীগ্রামে সভা করতে গিয়েছিলেন, তখন আবার তাঁর তাঁর দুর্গ দক্ষিণ কলকাতায় পাল্টা রোড শো করেন শুভেন্দু। শঠে শাঠ্যংয়ের বার্তা দিতেই হয়তো তার আয়োজন করা হয়েছিল।
শুভেন্দু বলেন, “আমি একটা শৃঙ্খলাবদ্ধ পার্টির সদস্য। আর তৃণমূল একটা প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি। দেড় জনের পার্টি। তাই মঞ্চে দাঁড়িয়ে মাননীয়া কোম্পানির সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে দিতে পারেন। বিজেপিতে তা করা যায় না। নন্দীগ্রামে দল আমাকে প্রার্থী করুক বা অন্য কাউকে, মাননীয়াকে হারাবই হারাব।”


নন্দীগ্রামের বিধায়ক ছিলেন শুভেন্দু। তিনি যে বারো মাস তাঁর নির্বাচন কেন্দ্রের মানুষের পাশে থাকেন এক সময়ে সে কথাই বড় মুখ করে বলতেন তৃণমূলের নেতারা। এখন তিনি বিজেপিতে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে নন্দীগ্রামে গত কয়েক বছরে বিশেষ যাননি তাও বাস্তব।

এদিন রাসবিহারীর মঞ্চে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু বলেন, “মাননীয়া আপনি নন্দীগ্রামে সেই ২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর শেষ বার গিয়েছিলেন। পাঁচ বছর পর ভোটের আগে ফের নন্দীগ্রামের কথা মনে পড়েছে। মানুষ সব জানে।” শুভেন্দু প্রশ্ন ছুড়ে বলেন, “আপনি নন্দীগ্রামের জন্য কী করেছেন? সিঙ্গুরে শিল্প বন্ধ করে দেওয়ার কথা অষ্টম শ্রেণির পাঠ্য বইয়ে রয়েছে, নন্দীগ্রামের কথা এক লাইনও নেই।”


বিজেপিতে নবাগত এই নেতার কথায়, “এদিন সাতটা জেলা থেকে আটশো বাসে করে লোক এনেছিলেন। তাও মাঠ ভরাতে পারেননি। তাও যাঁরা ছিলেন তাঁরা সব ওই হায়দরাবাদের পার্টির লোক। নন্দীগ্রামের ভোলেনি যে অরুণ গুপ্ত নন্দীগ্রামে গুলি চালিয়েছিলেন তাঁকে ষাট বছর পেরিয়ে যাওয়ার পর চার বার এক্সটেনশন দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যে সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় অধিকারী পাড়ায় গুলি চালিয়েছিলেন, সেই পুলিশ অফিসারকে টেট কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত মহাসচিব দলে সামিল করিয়েছেন। নন্দীগ্রামের মানুষ এর জবাব দেবেই দেবে।”

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here