দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ সোমবার যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তালপাটি খালের তেখালি ব্রিজ সংলগ্ন মাঠে জনসভা করছেন তখন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায় মতুয়া ভূমি ঠাকুরনগরে। আগামী ৩০ জানুয়ারি অমিত শাহের সভা করার কথা সেখানে। এদিন তারই প্রস্তুতি দেখতে গিয়েছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মুকুল রায় বলেন, “এক জায়গায় দাঁড়ালে হেরে যেতে পারেন। সেই ভয় থেকে এখন অন্য জায়গা খুঁজছেন।”

আবদুল মান্নান, সুজন চক্রবর্তী, দিলীপ ঘোষ সবাই মোটামুটি একথা বলেছেন। মুকুলবাবুর কথাও তাই। অর্থাত্‍ মুখ্যমন্ত্রী ভবানীপুরকে সেফ সিট মনে করছেন না।তবে এর পরেই মুকুল বাবু বলেন, “শেষ পর্যন্ত নন্দীগ্রামে দাঁড়াবেন না উনি। কারণ নন্দীগ্রামের মানুষ যে আর তাঁর পাশে নেই, তা বুঝে গিয়েছেন।’’

এদিন নন্দীগ্রামের সভার শেষ পর্যায়ে প্রার্থী হওয়ার প্রসঙ্গের অবতারণা করেন দিদি। কিন্তু তা কতটা সুচিন্তিত তা নিয়ে অনেকেরই সংশয় রয়েছে। রাজনৈতিক মহলের অনেকেই বলছেন, মমতার বক্তৃতার ওই পাঁচ মিনিট শুনলেই বোঝা যাবে স্ববিরোধিতায় ভরা। একবার তিনি বলেছেন, নন্দীগ্রামে ভাল প্রার্থী দেব তারপর আবার বলেছেন আমি যদি প্রার্থী হই কেমন হয়? একবার বলেছেন ভবানীপুরে ভাল প্রার্থী দেব আবার বলেছেন, দুজায়গা থেকেই তিনি প্রার্থী হতে পারেন।

সন্দেহ নেই মমতার এই ঘোষণা ছিল এই সময়ের সব থেকে বড় চমক। শুভেন্দুকে কড়া চ্যালেঞ্জ করার উদ্দেশেই যে এই কথা দিদি আজ বলেছেন তা নিয়েও সংশয় নেই অনেকের। যদিও দিদির সভা শেষের দুঘণ্টার মধ্যে কার্যত তাঁর দুয়ারে দাঁড়িয়ে অধিকারী বাড়ির মেজো ছেলে বলেছেন, হাফ লাখ ভোটে মাননীয়াকে হারাব, নইলে রাজনীতি ছেড়ে দেব।
পরিস্থিতি যখন এমনই টানটান। তখন মমতাকে নিয়ে এ হেন ভবিষ্যৎবাণী করে রাখলেন মুকুলবাবু। যা নিয়ে চর্চা চলবেই।

একদা তৃণমূলের সেকেন্ড ম্যান ছিলেন মুকুল বাবু। দলের অনেক দিক তিনিই সামলাতেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অনেকের থেকে বেশি চেনেন তিনি। পালস বোঝেন! অনেকদিন কাছ থেকে দেখলে যা হয়। সেই তিনিই মুকুল রায় মমতার নন্দীগ্রামে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণায় একাধারে খোঁচা দিলেন তেমনই ভবিষ্যৎবাণী করে রাখলেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here