দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে জনবিরোধী নীতির অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে দেশের অসংখ্য ট্রেড ইউনিয়ন ও ফেডারেশন সংগঠন। বাংলায় সেই ধর্মঘট সফল করতে মরিয়া বাম ও কংগ্রেস নেতৃত্ব।
আগেই এলাকায় এলাকায় যৌথ কমিটি গঠন করেছে সিপিএম কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তারা রাস্তায় নেমে শক্তি প্রদর্শন করতে চাইবে বলেই মনে করছেন অনেকে।

আনলক পর্বে চলতি মাসেই রাজ্যে চালু হয়েছে লোকাল ট্রেন পরিষেবা। তা বন্ধ করার জন্য বিভিন্ন কায়দা সিপিএম-কংগ্রেস নিতে পারে বলে খবর। তৃণমূল যদিও কর্মসংস্কৃতির দোহাই দিয়ে দলগত ভাবে ধর্মঘটের বিরোধিতা করেছে। রাজ্য সরকারও বুধবার রাতে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সরকারি কর্মচারীদের জানিয়েছে, কাজে না যোগ দিলে বেতন কাটা, চাকরি জীবন থেকে এক দিন কর্মচ্ছেদ হবে।
যদিও ধর্মঘটের আগের রাতে কর্মীদের দফতরে রেখে ডিমের ঝোল ভাত খাওয়ানোর যে ছবি গত ধর্মঘটেও দেখা গিয়েছিল সেসব এবার নেই।

দক্ষিণ ভারতের একাধিক রাজ্যে বাম ট্রেড ইউনিয়নগুলির ভাল শক্তি রয়েছে। গোটা দক্ষিণ ভারত জুড়ে ধর্মঘট সফল হবে বলেই আশা ট্রেডইউনিয়ন নেতৃত্বের। একে তো কেরলে ক্ষমতায় বামেরা। তা ছাড়া তামিলনাড়ু, পুদুচেরি এবং অন্ধ্রপ্রদেশে ঘূর্ণিঝড় নিভারের ভ্রুকুটি রয়েছে। ফলে আলাদা করে সাংগঠনিক শক্তি প্রয়োগের বিষয় নেই।
একদা বাম শাসনের থাকা ত্রিপুরাতেও ধর্মঘট সফল হবে বলে আশা বামেদের। রাজধানী আগরতলায় কার্যত টক্কর চলছে দুপক্ষের। সিপিএমের লোকজন যেমন চোখ রাঙিয়ে দোকানদারদের দোকান বন্ধ করার কথা বলে গেছে পাল্টা বিজেপি কর্মীদেরও হুঁশিয়ারি, দোকান খুললে ট্রেড লাইসেন্স বাতিল হবে। সব মিলিয়ে ফাঁপড়ে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। আগরতলার গোর্খা বস্তি এলকার এক দোকানদার বলেন, “কে এই হুজ্জুতি পোহাবে। কাল বন্ধ রাখব দোকান। পরে কিছু বললে বলব জ্বর জ্বর লাগছিল। কোভিডের ভয়ে দোকান খুলিনি।”

তবে বাংলার কিছু কিছু জায়গায় ধর্মঘটীদের উগ্র মেজাজ দেখা যেতে পারে। লাইনে স্লিপার ফেলে দেওয়া, টায়ারে আগুন লাগিয়ে দেওয়া, দড়ি বাঁধা গোল্লা ফেলে রেখে ভুয়ো বোমাতঙ্ক তৈরি করার মতো কৌশল দেখা যেতে পারে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here