অন্য বছর হলে এই খবরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পনত। বেশ একটা খুশির আবহ তৈরি হত বাঙালির মনে। কিন্তু এবার পরিস্থিতি একেবারেই ভিন্ন। বিশেষজ্ঞরা মনে করেছিলেন, পুজোর ক’‌টা দিন বৃষ্টি হলে মানুষের উৎসাহে ভাটা পড়বে। কমবে ভিড়। 

কিন্তু নাহ্‌!‌ নিম্নচাপ দ্রুতই সরে যাচ্ছে। শুক্রবার আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, নিম্নচাপের প্রভাব এ রাজ্যে আর পড়ছে না। তাতে দারুণ খুশি পুজো উদ্যোক্তারা। কারণ যে ক’‌জন দর্শনার্থী আসতেন, বৃষ্টি হলে তাঁরাও আর উৎসাহী হবেন না। এবার মণ্ডপের সামনে অন্তত কিছু ভিড় হবে বলেই ধরে নিচ্ছেন তাঁরা।

এর আগে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছিল, সপ্তমীতে ভারি বৃষ্টি হবে। সঙ্গে বইবে ঝোড়ো হাওয়া। ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৫০ কিলোমিটার গতিতে। তার পরেই পুজো উদ্যোক্তা এবং কলকাতা সহ সাত জেলার প্রশাসনকে সতর্ক করেছিল নবান্ন। কিন্তু সেই আশঙ্কা আর নেই। জানা গেছে, দুপুরের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করবে নিম্নচাপটি। সেই সঙ্গে শক্তিও হারাবে। তার জেরে উপকূল লাগোয়া এলাকায় বৃষ্টি হবে। তবে কলকাতায় তেমন প্রভাব পড়বে না।

এই সুসংবাদের মধ্যেই বিশেষজ্ঞ এবং চিকিৎসক মহলে চিন্তার ছায়া। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এক দিনে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪,১৫৭ জন। মারা গেছেন ৬৪ জন। হাসপাতালে কোভিড শয্যা বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু এভাবে সংক্রমণ বাড়তে থাকলে শয্যায় কুলোবে না। প্রাণহানি বাড়বে। 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here