দেশের সময়: পুলিশ বাধা দিলে দেহ কাঁধে করে কলকাতায় নিয়ে যাব। রীতিমতো হুমকি দিলেন হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। এদিন দফায় দফায় বিজেপির সঙ্গে সংঘর্ষ হয় পুলিশের। সন্দেশখালিতে দুই বিজেপি কর্মীর দেহ নিয়ে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেয় বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির পক্ষে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “আমরা চাই দুই কর্মীকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে রাজ্য দফতরে নিয়ে যেতে চাই কিন্তু পুলিশের বাধায় তা সম্ভব হচ্ছে না।”

এদিন বিজেপির প্রতিনিধি দলে দিলীপ ঘোষ ছাড়াও ছিলেন হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু, রাহুল সিনহা প্রমুখ। এদিন পুলিশকে রাহুল সিনহা বলেন, দেহ নিয়ে কোনও মিছিল, সমাবেশ করা হবে না। রাজ্য দফতরে নিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর পরে কলকাতা মরদেহ পিস হাভেনে রাখা থাকবে এবং আগামীকাল কলকাতার কেওড়তলা মহাশ্মসানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। তবে পুলিশ এই দাবি মানতে রাজি হয়নি। পর পর তিনবার রাস্তার উপরে আটকে দেওয়া হয় মরদেহ নিয়ে আসা গাড়ি ও বিজেপি নেতাদের কনভয়।

পুলিশ বনাম বিজেপি। রীতিমতো খণ্ড যুদ্ধ মালঞ্চ মোড়ে। এদিন নিহত দুই বিজেপি কর্মীর দেহ নিয়ে কলকাতায় আসতে চায় বিজেপি নেতৃত্ব। বাধা দেয় পুলিশ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পুলিশের বাধা অতিক্রম করে কলকাতার দিকে চলে যায় শববাহী গাড়ি। এর পরে ফের আটকায় পুলিশ। চলছে তুলকালাম সংঘাত।

দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিনহা, লকেট চট্টোপাধ্যায়, সায়ন্তন বসুদের নেতৃত্বে বিজেপি প্রতিনিধি দল বেলা একটা নাগাদ এ দিন বসিরহাটে পৌঁছন। যান বসিরহাট হাসপাতালে। এরপর দু’জন কর্মীর মরদেহ নিয়ে কলকাতার দিকে রওনা দেন তাঁরা। তিন তিনবার আটকানো হয় বিজেপি-র ওই কনভয়কে। প্রতিটি জায়গায় গাড়ি থেকে নেমে সম্মুখ সমর শুরু করে দেন লকেট, রাহুলরা।

বাসন্তী হাইওয়ের উপর মিনাখাঁ মালঞ্চ মোড়ে বিরাট পুলিশ বাহিনী আটকে দেয় বিজেপি-র প্রতিনিধি দলকে। বিজেপি নেতারা বলেন, “আমাদের কর্মসূচি স্থির। আজ রাতে মরদেহ রাখা হবে পিস হ্যাভনে। সোমবার বিজেপি রাজ্য দফতরে ‘শহিদ’ কর্মীদের শ্রদ্ধা জানিয়ে সৎকার হবে। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজত্বে এখন মৃতদেহ সৎকারের অধিকারও নেই।”

সন্ধে ৬টা পর্যন্ত রাস্তায় দাঁড়িয়ে বিজেপি-র কনভয়। বিজেপি নেতাদের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় চলছে লকেট, সায়ন্তনদের।

বিজেপির পক্ষে দেবদাস মন্ডল বলেন, “আমরা দুই কর্মীকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে বনগাঁর মানুষকে পাশে নিয়ে মোমবাতির মিছিল এ সামিল হয়েছি। এদিন মিছিল মতিগঞ্জ থেকে গুরু হয়ে যশোর রোড হয়ে বনগাঁ শহর পরিক্রমা করে৷

অন্যদিকে শেষ পর্যন্ত পিছু হটল বিজেপি। কলকাতায় আনার পরিবর্ত নিহত দুই বিজেপি কর্মীর দেহ নিয়ে সন্দেশখালির পথে রাজ্য নেতৃত্ব। বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা জানিয়েছেন, নিহত এক কর্মীর মা মাঝ পথে অসুস্থ হয়ে পড়ায় গ্রামে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিল বিজেপি। রাহুল সিনহা বলেন, “পুলিশের নক্কার জনক আচরণ সত্বেও পরিবারের কথা মাথায় রেখে গ্রামেই শবদাহ হবে।এখন দেখার শেষ পর্যন্ত কী পরিস্থিতি দাঁড়ায়৷

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here