দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ আবারও ৩৭ হাজারের রেকর্ড। গতকালের থেকে সংখ্যাটা কিছুটা কম। কিন্তু করোনা সংক্রমণের কার্ভ বেড়েই চলেছে। রবিবার একদিনে ৩৯ হাজার কোভিড সংক্রমণ ধরা পড়েছিল। গতকাল, সোমবার সব রেকর্ড ভেঙে সেই সংখ্যা পৌঁছেছিল ৪০ হাজারে। আজ, মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সকাল ৮টার বুলেটিনে দেখা গেল গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৭ হাজার ১৪৮ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।

দেশে মোট কোভিড পজিটিভ রোগীর সংখ্যা সাড়ে ১১ লাখের গণ্ডি পেরিয়েছে। আজকের হিসেবে দেশে মোট সংক্রামিতের সংখ্যা ১১ লাখ ৫৫ হাজার ১৯১। ভাইরাসের সংক্রমণে একদিনে মৃত্যুও হয়েছে ৫৮৭ জনের। দেশে এখন কোভিড সংক্রমণে মৃতের সংখ্যা ২৮ হাজার ৮৪ জন।

করোনা সংক্রমণ ও মৃতের সংখ্যার নিরিখে এখনও এগিয়ে মহারাষ্ট্র। সংক্রামিতের সংখ্যা তিন লাখের গণ্ডি পেরিয়েছে। আজকের হিসেবে মহারাষ্ট্রে মোট করোনা পজিটিভ রোগীর সংখ্যা ৩ লাখ ১৮ হাজার ৬৯৫। মৃত্যু হয়েছে ১২ হাজারের বেশি। মহারাষ্ট্রে কোভিড সংক্রমণের বেশিরভাগই মুম্বইতে। সেখানে কোভিড পজিটিভ রোগীর সংখ্যা এক লাখ পেরিয়েছে।

আজকের হিসেবে রাজধানীতে কোভিড পজিটিভ রোগীর সংখ্যা ১ লাখ ২৩ হাজার ৭৪৭। তবে সংক্রমণ সারিয়ে সুস্থও হয়েছেন এক লাখের বেশি কোভিড রোগী। গুজরাট ও তামিলনাড়ুতেও কোভিড সংক্রমণ বাড়ছে। গুজরাটে আক্রান্ত ৪৯ হাজার ৩৫৩। তামিলনাড়ুতে ইতিমধ্যেই কোভিড পজিটিভ রোগীর সংখ্যা দেড় লাখ ছাড়িয়েছে। আজকের হিসেবে আক্রান্তের মোট সংখ্যা ১ লাখ ৭৫ হাজার ৬৭৮।

এদিকে করোনা সংক্রমণ বেড়েই চলেছে কর্নাটকে। মোট আক্রান্ত ৬৭ হাজার ৪২০। রাজ্যে সবচেয়ে বেশি সংক্রামিত বেঙ্গালুরুতেই। পরিস্থিতি সামাল দিতে গত ১৪ জুলাই থেকে ফের লকডাউন চালু হয়ে গেছে বেঙ্গালুরুতে।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, দেশে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও সুস্থতার হারও বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সারিয়ে সুস্থ হয়েছেন ২৪ হাজার ৪৯০ জন। দেশে মোট সুস্থ হয়ে ওঠাদের সংখ্যা ৭ লাখ ২৪ হাজার ৫৭৭। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চের (আইসিএমআর) হিসেবে এখনও অবধি দেশে মোট কোভিড টেস্ট হয়েছে ১ কোটি ৪০ লক্ষ ৪৭ হাজার ৯০৮। আইসিএমআর জানাচ্ছে, ১৯ জুলাই দেশে করোনা পরীক্ষা হয়েছে ২ লাখ ৫৬ হাজারের বেশি। ৮৫২টি সরকারি ও ৩৪৮টি বেসরকারি ল্যাবে চলছে করোনা পরীক্ষার কাজ।

সমীক্ষা বলছে এফেক্টিভ রিপ্রোডাকশন রেট বা আর নম্বর বেড়েছে দেশে। গত সপ্তাহে এই আর নম্বর ছিল ১.১১, এক ধাক্কায় সেটা বেড়ে হয়েছে ১.১৭। এই আর নম্বর হল এমন একটা গাণিতিক হিসেব যার মাধ্যমে সংক্রমণের হার মাপা হয়। একজন করোনা রোগীর থেকে কতজনের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে সেটা মাপা হয় আর নম্বর দিয়ে। এই হিসেবের মাপকাঠিতেই নির্ণয় করা হয় সংক্রমণ কতটা ছড়িয়ে পড়ল এবং কতজনের মধ্যে ছড়াল। এই আর নম্বর সবচেয়ে কম আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ০.৭৯। আর নম্বর কমলে দেশে অ্যাকটিভ করোনা রোগীর সংখ্যাও কমে যাবে।

পাশাপাশি, একজন আক্রান্তের থেকে বেশিজনের মধ্যে সংক্রমণ ছড়ানোর হারও কমবে। ট্রান্সমিশন রেটও একটা স্থিতিশীল পর্যায়ে চলে আসবে। যে মুহূর্তে দেশের কোভিড ট্রান্সমিশন রেট স্থিতিশীল হবে, আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধিও কমতে থাকবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here