দেশের সময় ওয়েবডেস্ক: কোভিড সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙতে ‘সাডেন ব্রেক’-এর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য সরকার। জুলাই মাস থেকেই নির্দিষ্ট দিনে কড়া লকডাউন প্রক্রিয়া শুরু করেছিল নবান্ন। আজ বৃহস্পতি ও কাল শুক্রবার লকডাউন রয়েছে রাজ্যে। এই প্রথম পরপর দু’দিন লকডাউন হচ্ছে বাংলায়। আর তা কার্যকর করতে এদিন সকাল থেকেই কলকাতা থেকে জেলায় সর্বত্র পুলিশি কড়াকড়ির ছবি দেখা গিয়েছে।

এদিন সকাল থেকে জনশূন্য কলকাতার রাস্তাঘাট। সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, এজেসি বোস রোড, ইএম বাইপাস, রাসবিহারী, শ্যামবাজার থেকে বেহালা, যাদবপুর, গড়িয়া—সর্বত্র রাস্তার মোড়ে মোড়ে বসেছে পুলিশ পিকেট। রাস্তায় কাউকে দেখলেই তাঁর থেকে জানতে চাওয়া হচ্ছে কী কারণে তিনি বেরিয়েছেন। কলকাতার একাধিক রাস্তায় এক তৃতীয়াংশ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে গার্ড রেল দিয়ে। একমাত্র জরুরি পরিষেবাই খোলা থাকবে এই দু’দিন।

কলকাতার পাশাপাশি জেলাগুলিতেও একই ছবি দেখা গিয়েছে এদিন। হাওড়া, হুগলি, দুই চব্বিশ পরগনা, দুই মেদিনীপুরের পাশাপাশি পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানে পথে নেমেছে পুলিশ। দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টির কারণে এমনিতেই রাস্তায় হাতে গোণা লক দেখা গিয়েছে। যাঁরা রাস্তায় বেরিয়েছেন তাঁদের কাছে পুলিশ জানতে চাইছে কী কারণে তাঁরা বেরিয়েছেন। সন্তোষজনক জবাব না পেলেই ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে বাড়ি।

গত দিনগুলিতে কলকাতা পুলিশ-সহ জেলায় জেলায় বহু মোটর সাইকেল ও গাড়ি আটক করেছিল প্রশাসন। এদিন ছবিটা কী দাঁড়ায় তা বোঝা যাবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে। উত্তর বঙ্গের জেলাগুলিতেও কড়া লকডাউন কার্যকর করতে পথে নেমেছে পুলিশ।

এ মাসে শেষ লকডাউন হয়েছিল গত ৮ অগস্ট। মাঝে প্রায় দু’সপ্তাহ স্বাভাবিক ছিল জনজীবন। বেশ কয়েকবার দিনের বদল করেছে রাজ্য সরকার। তাই কবে লকডাউন তা যাতে মানুষের স্মৃতি থেকে বেরিয়ে না যায় সে কারণে গত দু’দিন ধরে প্রচার চালানো হয়েছে প্রশাসনের তরফে। বনগাঁয় পুলিশ এবং পুরসভার তরফে বাজার, হাট, জনবহুল জায়গায় ২০ ও ২১ অগস্ট পূর্ণ লকডাউনের মাইকপ্রচার চলেছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here