দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ একেবারে শেষে এসে ম্যাচ ঘোরালেন তৃণমূল যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার রাত থেকে যে বিদ্রোহ দেখিয়েছেন সাংসদ শতাব্দী রায়-তাতে তাঁকে আর তৃণমূলে রাখা সম্ভব নয় বলেই ধরে নিচ্ছিল রাজনৈতিক মহল। কিন্তু শুক্রবার দুপুরে প্রথমে কুণাল ঘোষকে শতাব্দীর সঙ্গে ‘সন্ধি’ করতে পাঠায় তৃণমূল। কিন্তু সেই বৈঠকও তেমন ফলপ্রসূ হয়নি। ফের এদিন সন্ধ্যায় শতাব্দীকে অভিষেকের কাছে নিয়ে যান কুণাল। আর সেই বৈঠকেই মিলল রফাসূত্র। 

এদিন রাত ৯ টা নাগাদ বেরিয়ে বলেন, না কাল দিল্লি যাচ্ছি না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই রয়েছি। এই লড়াই আমাদের সবাইকে এক সঙ্গে মিলে লড়তে হবে।শুধু তাই নয়, তিনি জানান, ‘অভিষেককে আমার অভিযোগের বিষয়ে জানিয়েছি। এই লড়াই আমাদের সবার। মমতার জন্যই তৃণমূলে আছি। কাল দিল্লি যাচ্ছি না।’ আর শতাব্দীর এই বার্তাতেই ফের অক্সিজেন পেল রাজ্যের শাসক দল। কিন্তু অনেকের মতেই, শুভেন্দুর মতো করবেন না তো শতাব্দী? দলের সঙ্গে শুভেন্দুর দূরত্ব বাড়ার সঙ্গেসঙ্গেই একাধিক নেতা তাঁর সঙ্গে বৈঠক করেন। 

এমনকী  অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গেও বৈঠক করেছিলেন শুভেন্দু। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন শুভেন্দু। এবার শতাব্দীর ক্ষেত্রেও তেমন হয় কিনা, সেদিকেই নজর রাজনৈতিক মহলের।

এদিন দুপুরেও শতাব্দীকে ফোন করেছিলেন বিজেপি সহ সভাপতি মুকুল রায়। তখন আবার নাকি সেখানে বসেছিলেন কুণাল ঘোষ। তার পর কুণালই নাকি শতাব্দীকে অনুরোধ করেন, একবার দিদি ও অভিষেকের সঙ্গে কথা বলতে।
এর আগেও এমন নাটকীয় পরিবর্তন দেখা গিয়েছিল। আসানসোলের প্রাক্তন পুর প্রশাসক বিজেপির পথে পা বাড়িয়েছিলেন। কিন্তু বিজেপি তাঁকে গ্রহণ না করায় আবার অভিষেকের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। কিন্তু জিতেন সম্পর্কে তৃণমূলের অনেকের এখনও সন্দেহ রয়েছে বলে মনে করেন পর্যবেক্ষকদের একাংশ।

তাঁদের মতে, শতাব্দীও সন্দেহের ঊর্ধ্বে থাকবেন না। তৃণমূলে এর পরে থেকে গেলেও তাঁর বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে অনেকের মনে সন্দেহ থেকে যেতে পারে। আবার বিজেপির সঙ্গে প্রকৃতই তাঁর যদি কোনও আলোচনা এগিয়ে থাকে, তা হলে এতে অমিত শাহদেরও খুশি হওয়ার কথা নয়।

তবে রাজনীতিতে সবই যেমন অনিত্য। তেমনই এও ঠিক দিনের শেষে জো জিতা ওহি সেই দিনের রাজা। আপাতত বলা যায় শুক্রবারের দৌত্যে সফল হলেন অভিষেক ও কুণাল।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here