দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনের মামলায় আগেই নাম জড়িয়েছিল বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের। বৃহস্পতিবার সেই মামলায় মুকুলবাবুকে টানা জেরা করছে সিআইডি। সকাল ১০টা ৪০মিনিট নাগাদ ভবানী ভবনে পৌঁছন প্রাক্তন রেলমন্ত্রী। বেলা একটা ৫০মিনিট নাগাদ ভবানী ভবন থেকে বেরোন মুকুলবাবু। অর্থাৎ টানা তিনঘণ্টা ১০ মিনিট একদা তৃণমূলের সেকেন্ড ম্যানকে জেরা করেন রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা।


এই মামলায় তদন্ত করছে সিআইডি। রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে আগে ডাকা হয়েছিল মুকুলবাবুকে। কিন্তু যাননি প্রাক্তন রেলমন্ত্রী। এদিন তিনি প্রথম হাজিরা দিলেন ভবানী ভবনে।


গত বছর সরস্বতী পুজোর আগের রাতে বাড়ির কাছেই একটি পুজো প্যান্ডেলে গিয়েছিলেন তরুণ বিধায়ক সত্যজিৎ। সেখানেই তাঁকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেয় দুষ্কৃতীরা। ওই মামলায় নদিয়া জেলা পুলিশ মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে। মামলা হয়েছে রাণাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের বিরুদ্ধেও।

সত্যজিৎ খুনের মামলায় হাইকোর্টে আগেই আগাম জামিন পেয়েছিলেন মুকুলবাবু। তবে আদালতের নির্দেশে তাঁর নদিয়া জেলায় ঢোকার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এই সময়ের মধ্যে একাধিক মামলায় নাম জড়িয়েছে মুকুলবাবুর। এদিন ভবানী ভবন থেকে বেরিয়ে মুকুলবাবু বলেন, “সিআইডি বা সিবিআই ডাকলে আমি পালিয়ে যাই না। তবে আমি মনে করি সঠিক তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।” তিনি আরও বলেন, “সত্যজিতের খুন হয়ে যাওয়া অত্যন্ত অন্যায় ঘটনা। এর সঠিক তদন্ত হোক। কিন্তু সিআইডিকে দিয়ে প্রহসন চলছে।”
সত্যজিৎ খুনের ঘটনায় তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল রাজ্য রাজনীতিতে। অনেকেই অভিযগ তুলেছিলেন, যে রাজ্যে ভর সন্ধে বেলা শাসকদলের বিধায়ককে দুষ্কৃতীরা গুলি করে ফেলে, সে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা কেমন তা বোঝাই যাচ্ছে!


এরপর লোকসভা ভোটে রাণাঘাট আসনে নিহত সত্যজিতের স্ত্রী রূপালি বিশ্বাসকে প্রার্থী করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অনেকের মতে তৃণমূলের কৌশল ছিল সহানুভূতির ভোট পাওয়া। কিন্তু তা আর হয়নি। রাণাঘাট জিতেছে বিজেপি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here