দেশের সময়ওয়েবডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করেছেন, আগামী রবিবার সকাল সাতটা থেকে রাত ন’টা অবধি জারি থাকবে জনতা কার্ফু। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকানোর জন্য এই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। রবিবার এমনিতেই মানুষ কম ট্রেনে চড়েন। তার ওপরে জনতা কার্ফুর মধ্যে কেবল যাঁরা অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত, তাঁরাই ট্রেনে চড়বেন। তাই ওইদিন ট্রেন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার ভারতীয় রেলের জেনারেল ম্যানেজারের নামে এক বিবৃতি প্রকাশিত হয়। তাতে বলা হয়েছে, শনিবার মাঝরাত থেকে রবিবার রাত ১০ টা পর্যন্ত সব প্যাসেঞ্জার ট্রেন বাতিল করা হচ্ছে। তবে শনিবার মাঝরাতের আগে যে ট্রেনগুলি যাত্রা শুরু করবে, তাদের গন্তব্যে পৌঁছতে দেওয়া হবে। এতগুলি ট্রেন বাতিল হওয়ায় বহু যাত্রীকে টিকিটের টাকা ফেরত দিতে হবে। তাঁরা যাতে সহজেই টাকা ফেরত পান তার ব্যবস্থা করেছে রেল।

কলকাতা, মুম্বই, চেন্নাই, দিল্লি ও সেকেন্দ্রাবাদের সাবার্বান ট্রেনগুলি ‘ন্যূনতম’ সংখ্যায় চালানো হবে। কেবল অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা চালু রাখার জন্যই ট্রেনগুলি চলবে। রবিবার ভোর চারটে থেকে রাত ১০ টার মধ্যে যে দূরপাল্লার মেল, এক্সপ্রেস ও ইন্টারসিটি ট্রেন ছাড়ার কথা ছিল, সেগুলি বাতিল করা হয়েছে। তবে রবিবার ভোর চারটের আগে যে ট্রেনগুলি যাত্রা শুরু করবে, তাদের গন্তব্যে পৌঁছতে দেওয়া হবে।

রেলওয়ে থেকে প্রত্যেক স্টেশনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তারা যেন যথেষ্ট পরিমাণে খাবার, জল ও বিশ্রামের জায়গা তৈরি রাখে। যে ট্রেনগুলি চালু থাকবে, তাদের যাত্রীরা যেন কোনও অসুবিধায় না পড়েন।

গত বৃহস্পতিবার রেল মোট ৮৪ টি ট্রেন বাতিল করেছিল। করোনাভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কায় এখনও পর্যন্ত বাতিল করা হয়েছে মোট ১৫০ টি ট্রেন।


বৃহস্পতিবার রাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশের নাগরিকদের কাছে আবেদন জানান, আগামী ২২ মার্চ জনতা কার্ফু পালন করুন। তিনি বলেন, “ওই সময় কেউ বাড়ি থেকে বেরোবেন না। কোথাও ভিড় করবেন না। কেবলমাত্র জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত মানুষজন রাস্তায় বেরোবেন।” প্রধানমন্ত্রীর মতে একদিন জনতা কার্ফু পালন করলে দেশের মানুষ অন্যদের থেকে প্রয়োজনীয় দূরত্ব বজায় রাখতে শিখবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here