দেশের সময়ওয়েবডেস্কঃ বিপুল শক্তি নিয়ে বাংলার দিকে ধেয়ে আসতে পারে ঘূর্ণিঝড় যশ। তার আগে আজ শুক্রবার বিকেলের দিকে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জেলায়। সঙ্গে হতে পারে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতও। গাঙ্গেয় পশ্চিমের জেলাগুলিতে বিকেলের দিকে হতে পারে ঝড়-বৃষ্টি।

আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, শনিবারও বৃষ্টিপাত হতে পারে রাজ্যের একাধিক জেলায়। এদিকে বাংলায় আছড়ে পড়তে পারে সাইক্লোন যশও। আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হচ্ছে, আগামী ২৬ মে সকালে ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে পৌঁছতে পারে। ওইদিন সন্ধ্যায় স্থলভাগে আছড়ে পড়তে পারে যশ।

আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, ২৫ মে থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টি শুরু হবে। পরবর্তী সময়ে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। এদিকে, শুক্রবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল সর্বাধিক ৯০ শতাংশ।

হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, ২৩ মে থেকে পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর ও আন্দামান সাগরে ঘণ্টায় ৪৫-৬৫ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। হাওয়ার সর্বোচ্চ বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ৬৫ কিমি। ২৩ মে’পর থেকে হাওয়ার বেগ আরও বাড়তে থাকবে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উত্তাল হতে পারে সমুদ্র। ২৩ মে থেকে সমুদ্রে মৎস্যজীবীদের যেতে নিষেধ করা হয়েছে। যাঁরা মাঝ সমুদ্রে রয়েছেন, তাঁদের ২৩ তারিখ সকালের মধ্যে ফিরে আসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কার কথা মাথায় রেখে যাবতীয় প্রস্তুতি নিচ্ছে নবান্ন। গত বছরের আমফান অভিজ্ঞতার পর প্রশাসন কোনও রকম ঝুঁকি নিতে নারাজ। সেই জন্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর-সহ সংশ্লিষ্ট কয়েকটিদফতরের কর্মীদের ছুটিও বাতিল করা হয়েছে। সমুদ্রে যাওয়ার উপরও নিষধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার।

বুধবার সন্ধ্যায় এই খবর জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্ন সভাঘরে ঝড়ের মোকাবিলায় প্রশাসনিক বন্দোবস্ত নিয়ে এক জরুরি বৈঠক হয়। আলোচনায় টেলিফোনে অংশ নেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যসচিব ছাড়া বৈঠকে ছিলেন স্বরাষ্ট্রসচিব, স্বাস্থ্যসচিব-সহ শীর্ষ প্রশাসনিক আধিকারিক এবং কলকাতা ও রাজ্য পুলিশের কর্তারা। যোগ দেন সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, উপকূলরক্ষী বাহিনী ও আবহাওয়া দফতরের কর্তারাও।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here