দেশের সময়ওয়েবডেস্কঃ নির্বাচন কমিশনের ‘অগণতান্ত্রিক ও অসাংবিধানিক’ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে মঙ্গলবার ধর্না দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের তরফে বলা হয়েছিল, বেলা ১২টার সময়ে দিদি যাবেন ধর্নামঞ্চে। নির্ধারিত সময়ের আধঘণ্টা আগে সকাল ১১টা ৩৫ মিনিট নাগাদ মেয়ো রোডে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে পৌঁছে যান মমতা। কিন্তু সেনাবাহিনী সূত্রে খবর, এখনও ওই কর্মসূচির অনুমতি দেয়নি ফোর্ট উইলিয়াম।

সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল ৯টা ৪০ মিনিট নাগাদ ই-মেল মারফত তৃণমূলের তরফে এই কর্মসূচির অনুমতি চাওয়া হয়। কিন্তু এত অল্প সময়ে অনুমতি দেওয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে ফোর্ট উইলিয়াম। তবে এই প্রতিবেদন যখন লেখা হচ্ছে বেলা পৌনে ১২টা নাগাদ মেয়ো রোডের ধর্নামঞ্চে বসে রয়েছেন তৃণমূলনেত্রী। এখন এটাই দেখার, সেনা বাহিনী কোনও পদক্ষেপ করে কি না।


নির্বাচন কমিশন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর চব্বিশ ঘণ্টা প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সোমবার সন্ধ্যায়। সোমবার রাত্রি ৮টা থেকে মঙ্গলবার ৮টা পর্যন্ত মমতা কোনও প্রচার করতে পারবেন না। তারপরই মমতার মঙ্গলবারের সূচি বদল করে তৃণমূল। পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, মঙ্গলবার চারটি জনসভা ছিল মমতার। নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ, কল্যাণী এবং উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত ও সল্টলেকে সভা করার কথা ছিল তৃণমূলনেত্রীর।

পরিবর্তিত সূচিতে বলা হয়েছে, রাত্রি সওয়া আটটায় বারাসতে সভা করবেন মমতা। রাত্রি নটায় সল্টলেলের বিএফ ব্লকে তিন প্রার্থীর সমর্থনে সভা করবেন তৃণমূল নেত্রী। তার আগে দুপুর বারোটায় কমিশনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে মেয়ো রোডে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


এমনিতেই পঞ্চম দফার ভোটের প্রচার একদিন কমিয়ে দিয়েছে কমিশন। ১৭ এপ্রিল ভোটগ্রহণ হবে পঞ্চম দফায়। নিয়মানুযায়ী ১৫ তারিখ বিকেল পাঁচটায় প্রচার শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কমিশন ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে পঞ্চম দফার আসনগুলির জন্য শেষ প্রচার করা যাবে ১৪ এপ্রিল বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here