দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ মঙ্গলবার দুপুরে গঙ্গাসাগর পৌঁছলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে গিয়ে প্রথমেই সোজা কপিলমুনি আশ্রমে যান তিনি৷

তিন দিনের সফরে গঙ্গাসাগরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিকেলে মেলার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেন তিনি। সাগরে পৌঁছে কপিলমুনির আশ্রমে গিয়ে পুজোও দেন। এর পর সেখান থেকে ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘেও উপস্থিত হন মুখ্যমন্ত্রী।

সাগরের সঙ্গে কুম্ভমেলার তুলনা টেনে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলেছেন মমতা। তাঁর দাবি, কুম্ভমেলা আয়োজনের ক্ষেত্রে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু গঙ্গাসাগরের আয়োজনে তা হয় না। তিনি বলেন, ‘‘গঙ্গাসাগরের জন্য টাকা দেয় না কেন্দ্র। আগে এখানে (পুণ্যার্থীদের জন্য) থাকার ব্যবস্থা ছিল না। তবে এখন সব ব্যবস্থা করা হয়েছে।’’ মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, ‘‘কুম্ভমেলা যদি সুয়োরানি হয়, তবে গঙ্গাসাগর কি দুয়োরানি?’’আমাদের কাজ আমরাই করে নেব। একটু সময় লাগবে।”

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বিশ্বের অন্যতম সেরা মেলা গঙ্গাসাগর মেলা। বিশ্বের আর কোথাও এমন মেলা হয় না। একমাত্র জলপথেই এখানে আসা যায়। প্রতি বছর ২০ থেকে ৩০ লক্ষ মানুষ এখানে আসেন। আমফান-সহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তাও ঘুরে দাঁড়িয়েছে গঙ্গাসাগর। সব তীর্থ বার বার, গঙ্গা সাগর এক বার। কিন্তু গঙ্গাসাগর এক বার এলে, মানুষ বার বার আসেন।

মুখ্যমন্ত্রী এদিন আরও বলেন, ‘‘সবাইকে বলব মেলায় মাস্ক পরে আসুন। এখন আবার কোভিড বাড়ছে। আমি গতকাল মিটিং করেছি। আবার আগামিকাল মিটিং করব। আমফান, ইয়াসের পরে অনেক ক্ষতি হয়েছে। তার পরেও আমরা আস্তে আস্তে সব কাজ করে দিয়েছি।

আমি প্রধানমন্ত্রীকে অনেক বার চিঠি দিয়েছি গঙ্গাসাগর মেলা যেন জাতীয় মেলা হয়। সব তীর্থ বারবার গঙ্গাসাগর একবার। আমি চিঠির উত্তরের জন্য অপেক্ষা করছি ৷ এই মেলায় এক পয়সা কেন্দ্র দেয় না। কুম্ভ মেলাতে সব কেন্দ্র দেয়। আমরা তাজপুর বন্দর নিয়ে বলেছিলাম। সেই কথাও রাখেনি। সেতু ভবিষ্যতে আমরাই করব।’’

প্রসঙ্গত, গঙ্গাসাগর মেলা হবে ৮ থেকে ১৬ জানুয়ারি। অন্য দিকে, ১৪ জানুয়ারি সকাল ১১টা ৪৬ মিনিট থেকে পরের দিন ভোর ৫টা ৭ মিনিট পর্যন্ত পুণ্যস্নানের তিথি। তার আগে সাগরমেলার প্রস্তুতি চূড়ান্ত করতে শেষ মুহূর্তের কাজ চলছে। সূত্রের খবর,মেলার প্রস্তুতি নিয়ে মঙ্গলবার জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকও করবেন মুখ্যমন্ত্রী।

মঙ্গলবার গঙ্গাসাগরে পৌঁছে মেলার খুঁটিনাটি সরেজমিনে খতিয়ে দেখেন তিনি। মমতার দাবি, ‘‘গঙ্গাসাগর মেলায় প্রতি বছর ২০-৩০ লক্ষ লোক হয়।’’ ওমিক্রন সংক্রমণের আবহে এই মেলায় আসা পুণ্যার্থীদের করোনাবিধি মেনে চলার জন্য পরামর্শও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here