পার্থ সারথি নন্দী,ঠাকুরনগর,দেশের সময়: করোনার কারনে এ বছর মতুয়াদের বারুণীর মেলা হচ্ছে না। মঙ্গলবার সাংবাদিকদের কাছে এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষনা করলেন মতুয়া কর্তারা। তবে উল্টো সুর শোনা গেল বিরোধী গোষ্ঠীর মুখে। একই নামের আর একটি সংগঠনের যুগ্ম সংঘাধিপতি সুব্রত ঠাকুরের বক্তব্য, এই মেলার আয়োজন করে মতুয়া ভক্তরা। তাঁরা যদি নিজেরা দায়িত্ব নিয়ে মেলার আয়োজন করে, তাহলে আমাদের কিছু বলার নেই।

হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মতিথি উপলক্ষ্যে প্রতি বছর ঠাকুরনগরে উৎসব হয়। ঠাকুরবাড়ির পাশের মাঠে বড় মেলা হয়। সেখানে দেশ বিদেশ থেকে লক্ষ লক্ষ ভক্ত হাজির হন। কামনা সাগরে স্নান করেন।

২২ মার্চ এ বছর এই অনুষ্ঠান হবার কথা। কিন্তু করোনার কারনে সংঘের কর্তারা মিটিং করে মেলার আয়োজন এ বছর বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেন। নিয়ম মেনে ঠাকুর মন্দিরে পুজোপাঠ হবে বলে এদিন সাংবাদিকদের জানান মতুয়া কর্তারা।
মেলা বন্ধের কথা প্রকাশিত হতেই,ভেঙ্গে পড়েন মতুয়া ভক্তরা, তবে অনেকেই আবার সমর্থনও করছেন মেলা বন্ধের দাবি।

মেলা বন্ধের জেরে চরম সমস্যায় পরেছেন অসংখ্য বাদ্যযন্ত্র ব্যাবসায়ীরা৷ বনগাঁ নিউমার্কেট ব্যাবসায়ী সমিতির কার্যকরী সভাপতি

নিত্য গোপাল দাস জানান,সারা ভারত থেকে লক্ষ লক্ষ মতুয়া ভক্তরা এই বারুণী মেলার সময় হাজার হাজার ডাঙ্কা, কাঁসড় ,ঘণ্টা,বাঁশি ইত্যাদী কেনেন ,কিন্তু মেলা বন্ধের কথা জানতে পেরে এবছর আর কেউ এই সমস্ত বাদ্যযন্ত্র কিনছেন না। এর ফলে কোটি কোটি টাকার বাদ্য যন্ত্র সারা বাংলার দোকান এবং কারখানায় পরে রয়েছে৷বিক্রি না হওয়ায় এই সমস্ত ব্যাবসায়ীরা লক্ষ লক্ষ টাকার লোকসানের মুখে পরেছেন৷ অনেকেই ব্যাঙ্কের থেকে টাকা নিয়ে এই বাদ্যযন্ত্রের ব্যবসা করেন৷ তাঁদের বোশির ভাগ অংশের মানুষ এবছর ব্যাঙ্কের দেনা পরিশোধ করতে পারবেন না বলেই ধারনা৷

এক কথায় মুখ থুবড়ে পড়ল বাদ্যযন্ত্রের ব্যাবসা৷মাথায় হাত এর সাথে যুক্ত সমস্ত মানুষের৷ কারণ বছর শেষে মাত্র সাতদিনের মতুয়ামেলার দিকে তাকিয়ে থাকেন এই মানুষগুলো ,এবার করোনার জেরে তাঁরাও সর্ব হারা হতে বসেছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here