দেশের সময়: কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী জন্মশতবর্ষ উদযাপন কমিটি গঠিত হয়েছে। কবির জন্ম হয়েছিল ১৯২৪ সালে। তিনি প্রয়াত হন ২০১৮ সালে। কমিটির তরফে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে বলেই জানিয়েছেন কবিপুত্র কৃষ্ণরুপ চক্রবর্তী । কমিটির সভাপতি সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় । সহ সভাপতি জয় গোস্বামী , সুবোধ সরকার, ব্রাত্য বসু , ইন্দ্রনীল সেন । কবি পরিবারের অন্য সদস্য সোনালী চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায় ও শিউলি সরকারও রয়েছেন এই উদ্যোগে। পাশে রয়েছে বাংলা একাডেমীও। এর অঙ্গ হিসাবে একাডেমি আঠার ও উনিশ ফেব্রুয়ারি আলোচনা চক্রের আয়োজন করেছে। এই প্রসঙ্গে মঙ্গলবার বাংলা একাডেমিতে নবান্নের শীর্ষ কর্তা আলাপন বন্দোপাধ্যায় জানান, সারা বছরই অনুষ্ঠান চলবে। ১৯ অক্টোবর কবির শতবর্ষ পূর্ণ হবে।

এদিন শীর্ষেন্দু বলেন, ” বরাবর বড়দের নিয়ে লিখেছি। জটিল জীবন, জটিল জগৎ, মনের নানারকম বিচিত্র গতি, বিকাশ নিয়েও চিন্তাভাবনা ছিল। কিশোর বা ছোটদের জন্য লেখার কথা মনেই হয় নি। এও ভেবেছিলাম পেরে উঠব না। একদিন নীরেনদা বললেন, ছোটদের জন্য লিখে দিবি।চেষ্টা করে দেখ না।ছাড়লেন না।লিখতেই হলো।” অর্থনীতিবিদ অভিরূপ সরকার বলেন, ” এ হলো কবিকে শতবর্ষের আলোয় নতুন করে দেখা।” উল্লেখ্য, ১৯ অক্টোবর তার শতবর্ষ পূর্ণ হবে।

এই কমিটি গঠনের মূল উদ্দেশ্যে হল, নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী জন্মশতবর্ষ উদ্‌যাপন নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় নানা যে কর্মকাণ্ড ঘটছে, তার মধ্যে কিছুটা হলেও সংহতি স্থাপনের একটা প্রয়াস। বহু লিটল ম্যাগাজিন, কবিতা ও আবৃত্তির ক্ষেত্রে যুক্ত বিভিন্ন সংস্থা ইতিমধ্যেই কবির জন্মশতবার্ষিকী উদ্‌যাপন শুরু করেছে। উদ্‌যাপনের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলা আকাদেমি এবং সাহিত্য অকাদেমিও। সর্বভারতীয় সংস্থা সাহিত্য অকাদেমি আগামী ১৮ এবং ১৯ ফেব্রুযারি নীরেন্দ্রনাথকে নিয়ে একটি আলোচনাচক্রের আয়োজন করেছে।

এ ছাড়াও ‘কলকাতার যিশু’র স্রষ্টার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ‘মেকার্স অফ ইন্ডিয়ান লিটারেচার’ নামক সিরিজ়ে নীরেন্দ্রনাথের উপর একটি শতবার্ষিকী পুস্তিকা প্রকাশিত হবে। বাংলা আকাদেমি সারা বছর ধরেই নীরেন্দ্রনাথকে নিয়ে নানা উদ্‌যাপনে ব্যস্ত থাকবে। এ ছাড়াও নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর জীবন, কাজ নিয়ে একটি স্মারক গ্রন্থ প্রকাশেরও উদ্যোগ নিয়েছে বাংলা আকাদেমি। এবং উদ্‌যাপনের উপসংহার পর্বে যে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে, সেখানে সমসময়ের ইতিহাসের প্রেক্ষিতে কবিতা ও তাতে নীরেন্দ্রনাথের ভূমিকা নিয়ে বক্তৃতা করবেন ইতিহাসবিদ দীপেশ চক্রবর্তী।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here