Home News কচুয়া ধামে ধসে পড়ল পাঁচিল,৫ জনের মৃত্যু,জখমবহু:দেখুন ভিডিও

কচুয়া ধামে ধসে পড়ল পাঁচিল,৫ জনের মৃত্যু,জখমবহু:দেখুন ভিডিও

1076
0

পরিমল বিশ্বাস ,উত্তর২৪পরগনা: কচুয়া ধামের পাঁচিল ভেঙে পড়ে মৃত্যু হল অন্তত চার জনের। আহত ২৭ জনের মধ্যে আরও বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সন্ধে থেকেই মানুষের ঢল নামে লোকনাথ ধামে। আচমকাই হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে পাঁচিলের একাংশ। শুরু হয়ে যায় ছোটাছুটি। পদপিষ্টও হয়েও জখম হয়েছেন অনেকে। দেখুন ভিডিও

বসিরহাট মহকুমার মাটিয়া থানার লোকনাথ বাবার মন্দিরে প্রতিবছরই জন্মাষ্টমীতে মানুষের ঢল নামে। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে অগনিত ভক্ত কচুয়ায় আসেন। জানা গেছে, রাতে তিনটে নাগাদ ভিড়ের চাপে লোকনাথ বাবার মূল গৃহে ঢোকার আগে পুকুরের ধারে পাঁচিলের একাংশ ধসে পড়ে। তার নীচে চাপা পড়ে যান অনেকেই। তীব্র আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। ছোটাছুটি শুরু হতেই পদপিষ্ট হন বহু ভক্ত।

আহতদের উদ্ধার করে প্রাথমিকভাবে বসিরহাট জেলা হাসপাতাল, ধান্যকুড়িয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাঁদের পাঠানো হয় এসএসকেএম, নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ ও ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানেই মৃত্যু হয় ৫ জনের। তাঁদের মধ্যে দু’জন মহিলা ও ৩জন পুরুষ বলে জানা গেছে।

খবর পেয়েই দুর্ঘটনায় আহতদের দেখতে প্রথমে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও পরে এসএসকেএমে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে আহতদের ঠিকমতো দেখভাল হচ্ছে কি না, তার খবর নেন। কথা বলেন ডাক্তারদের সঙ্গে। পরে তিনি জানান, মৃতদের পরিবারকে পাঁচ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। গুরুতর আহতদের দেওয়া হবে এক লক্ষ টাকা। আর অল্প আহতরা পাবেন ৫০ হাজার টাকা।

ঘটনা স্থলে রাজ্যের খাদ্য মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং পুলিশ প্রশাসন। গুরুতর আহতদেরকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁদেরই মধ্যে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। যদিও সরকারি ভাবে এখনও তিনটি নাম জানা গেছে।

এঁরা হলেন অপর্ণা সরকার (৩৫), পূর্ণিমা গড়াই (৬০) ও তরুণ মণ্ডল। অপর্ণা সরকারের বাড়ি মাটিয়ার দত্তপাড়ায়। পূর্ণিমা গড়াই রাজারহাটের বাসিন্দা। তরুণ মণ্ডল হাসনাবাদের আমলানির বাসিন্দা। আকাশ পাল (১৭) বসিরহাটের ৪নং এ বাড়ি৷

প্রতিবছরই জন্মাষ্টমীতে মানুষের ঢল নামে বসিরহাট মহকুমার মাটিয়া থানার লোকনাথ বাবার মন্দিরে । রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে অগনিত ভক্ত কচুয়ায় আসেন। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত তখন প্রায় তিনটে। মানুষের লম্বা লাইন কচুয়া ধামে ঢোকার মূল ফটকের বাইরে। আচমকাই পুকুরের ধারে পাঁচিলের (মূল কচুয়া ধামের পাঁচিল নয়) একাংশ ধসে পড়ে। নীচে চাপা পড়ে যান অনেকেই। তীব্র আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। ছোটাছুটি শুরু হতেই পদপিষ্ট হন বহু ভক্ত।

ভক্তদের ভিড় সামাল প্রচুর পুলিশ মোতায়েন ছিল সেখানে। ছিল লোকনাথ মিশনের স্বেচ্ছাসেবীরাও। সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধার কাজে হাত লাগান তাঁরা। প্রাথমিকভাবে বসিরহাট জেলা হাসপাতাল, ধান্যকুড়িয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় আহতদের। অনেকের অবস্থাই সঙ্কটজনক দেখে পরে তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে পাঠানো হয় কলকাতার এসএসকেএম, নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ ও ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।

খবর পেয়েই দুর্ঘটনায় আহতদের দেখতে প্রথমে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও পরে এসএসকেএমে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে আহতদের ঠিকমতো দেখভাল হচ্ছে কি না, তার খবর নেন। কথা বলেন ডাক্তারদের সঙ্গে। পরে তিনি জানান, মৃতদের পরিবারকে পাঁচ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। গুরুতর আহতদের দেওয়া হবে এক লক্ষ টাকা। আর অল্প আহতরা পাবেন ৫০ হাজার টাকা।

লাগাতার বৃষ্টি দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন মন্দির কর্তৃপক্ষ। এ বারের ভিড় তাদের কাছে আশাতীত বলেও মন্দির কর্তৃপক্ষের দাবি। লোকনাথ মিশনের সভাপতি বিষ্ণুপদ রায় চৌধুরী বলেন, “আমরা প্রতিবছর এই উৎসবের আগে প্রশাসনের সঙ্গে লাগাতার সমন্বয় রক্ষা করে চলি।

এ বারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তবে এ বারের ভিড় আমাদের কাছে আশাতীত। কয়েক লক্ষ ভক্তের সমাগম হয়েছে এ বার। আমাদের মন্দিরের বাইরে রাস্তার উপরেই ভিড়ের চাপে ভেঙে পড়ে পাঁচিল। ঘটনাটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। টানা বৃষ্টিতেই ওই পাঁচিলটি কমজোরি হয় পড়েছিল বলে মনে হচ্ছে।”

ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এখনও লাখো ভক্তের ভিড় কচুয়া ধামে। তাই সজাগ রয়েছে প্রশাসন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here